Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

পদ্মার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি ও শ্মশানঘাট

পদ্মার ভাঙনে বিলীন ফসলি জমি ও শ্মশানঘাট

ভেড়ামারার উপজেলার বাহাদুরপুরের মাধবপুর এলাকায় নদীভাঙনের

Advertisement

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর ভাঙনে বিস্তীর্ণ ফসলি জমিসহ হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত শ্মশাঘাটও নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে ৮০-৯০ জন পান চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাশাপাশি তাদের ৩০০০ পিলি (পানবরজের সারি) পান বরজ নদীতে ভেঙে গেছে।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর, হাটখোলাপাড়া ও বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আরকান্দি ও মাধবপুরে বিগত ৪ দিন ধরে পদ্মা নদীতে চার থেকে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত স্থান থেকে পদ্মা নদী রক্ষা রায়টা-মহিষকুন্ডি বেড়িবাঁধের দূরত্ব ৫০ মিটারেরও কম। হুমকিতে রয়েছে বসতবাড়িসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এই নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে এই অঞ্চলের বসবাসকারী মানুষের। তাদের দাবি, যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় রকমের বিপর্যয়।

Advertisement

অপরদিকে মাধবপুরের ভাঙনকবলিত এলাকায় রয়েছে বিস্তীর্ণ প্রান্তিক চাষিদের পান বরজ। গত কয়েকদিনের ভাঙনে ৮০-৯০ জন পান চাষির প্রায় ৩০০০ পিলি পান বরজ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই অঞ্চলের হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ব্যবহৃত একমাত্র শ্মশানঘাটটি নদীতে হারিয়ে গেছে।

আমিরুল আলি নামের এক কৃষক জানান, তার ভাই আরজেত আলি ও তার ছেলেদের ৭/৮ বিঘা জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখানে প্রায় ৮০০ পিলি পানের বরজ ছিল। একমাত্র উপার্জনের জায়গা হারিয়ে তারা এখন পথের ফকির।

মবির পণ্ডিত, রেজাউল, জামশেদ, রাব্বি, রহমান, কাশেম, নুরা, নাসির, আনেজ, আজগর, আবু, শিহাব এরা সকলেই ১০০ পিলি করে পানের বরজ হারিয়েছেন।

পানচাষি আবুল হোসেন বলেন, মাধবপুর এলাকায় গত দুই বছর আগে এই সমস্ত বরজ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। এবার আবার পদ্মা নদী গিলে নিল। আমরা কৃষকরা খুবই অসহায়।

Advertisement

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে ভাঙনের বিষয়টি আমরা আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। শীঘ্রই সেখানে পরিদর্শন করব। আর বসতবাড়ি থাকার কারণে জুনিয়াদহ ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুরে নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে কাজ শুরু হবে।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, পদ্মা নদীতে ভাঙনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। ক্ষতিগ্রস্ত পান চাষিদের আবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×