Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

দলীয় গ্রুপিং এর কারনে কুষ্টিয়ার -৪ আসন হারাতে পারে বিএনপি

দলীয় গ্রুপিং এর কারনে কুষ্টিয়ার -৪ আসন হারাতে পারে বিএনপি

ছবি, কুষ্টিয়া -৪ আসনের মানচিত্র।

Advertisement

কুষ্টিয়া -৪ আসনে নিজেদের আধিপত্য ও দলীয় গ্রুপিং পৌঁছে গেছে চরম পর্যায়ে। জেলার নেতাদের ক্ষমতার লড়াইয়ে অতিষ্ঠ জেলার বিএনপি'র কর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া-৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে দলীয় গ্রুপিং রূপ নিয়েছে ভয়াবহ আকারে।

কুষ্টিয়ার -৪ সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাদী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার এবং সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাফেজ মঈনুদ্দিন। কিন্তু সকল প্রার্থীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ও দলীয় কর্মীদের সিংহভাগই সমর্থন রয়েছে শেখ সাসী'র।তবে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমদ রুমী আর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও দলীয় শক্ত লবিং এ পিছিয়ে আছে হাফেজ মঈনুদ্দিন তবে জনপ্রিয়তায় সবার তলানিতে আছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার। আর এই জনপ্রিয়তায় হিংসা হিংসেতে চরম গ্রুপিং এর রূপ নিয়েছে।

এখানে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার কে নিয়ে অনেক বিতর্কিত থাকলেও তার নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়া সদর আসন রেখে কুষ্টিয়া-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লবিং- তদবিরে ব্যস্ত তিনি এমনটি'ই জানা যায়। 

Advertisement

নিজেদের শক্তি ও আধিপত্যকে জানান দিতেই এমন গ্রুপিং এর সৃষ্টি হয়েছে বলেই ধারণা করে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ নেতাকর্মীরা। তারা বলে, আজ আমরা আমাদের নিজেদের দলীয় লোকের পিছনেই প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছি আর এতেই নিজ দলের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে এতে বিএনপিকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে খারাপ চিন্তা ভাবনার সৃষ্টি হচ্ছে এর প্রভাব পড়বে নির্বাচনের মাঠে।এমন গ্রুপিং ভাবে চলতে থাকলে সাধারণ ভোটার বিএনপি'র উপর থেকে মুখ সরিয়ে নেবে এবং দলের পরাজয় ঘটবে যা আমাদের সবার জন্য বিপদজনক। 

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×