Site Logo | সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

রাজবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত
Advertisement

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন গ্রামের সঞ্জয় মণ্ডল (২৬) ও তার স্ত্রী শ্রাবন্তী ভাদুরী (২১)। সঞ্জয় ঢাকার সাভারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। শ্রাবন্তী ছিলেন গৃহিণী।

পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য রাত ৯ টার দিকে  ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের  সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সামনে একটি ছোট গতিনিয়ন্ত্রক (স্পিডব্রেকার) পার হওয়ার সময় মোটরসাইকেল থেকে দুজন ছিটকে সড়কে পড়েন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দৌলতদিয়া ঘাটগামী একটি যানবাহন তাঁদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান শ্রাবন্তী। গুরুতর আহত সঞ্জয়কে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

গোয়ালন্দ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৌশিক কুমার দাস যুগান্তরকে বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে সঞ্জয়কে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শ্রাবন্তীর চাচাতো ভাই সুকান্ত ভাদুরী বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে বৃহস্পতিবার  রাত ১১টার দিকে মারা যান সঞ্জয়। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে শ্রাবন্তীর মরদেহ রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা থেকে গ্রামে আনা হয়। তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রস্তুতি চলছে। 

সুকান্ত ভাদুরী জানান, প্রায় আট বছর আগে সঞ্জয় ও শ্রাবন্তীর বিয়ে হয়। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। ছুটি পেলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি আসতেন তারা। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁরা সাভার থেকে রওনা হন। রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেরি পার হওয়ার সময় শ্রাবন্তী সর্বশেষ তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ীর আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম শেখ যুগান্তরকে বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গুরুতর আহত সঞ্জয়কে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। দুর্ঘটনাকবলিত মোটর সাইকেলটি পুলিশের হেফাজতে আছে। অজ্ঞাত যানবাহনটি শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×