চট্টগ্রামে জামায়াত-বিএনপি সংঘর্ষ,আহত অন্তত দশ জন

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারছড়া এলাকায় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের মধ্যে টানা কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এতে উভয় দলের অন্তত দশজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
জামায়াতপন্থী নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ওই রাতে পশ্চিম বাঁশখালীর একটি মাদ্রাসা মসজিদে ছাত্রশিবিরের বৈঠকে ছাত্রদলের কয়েকজন ঢুকে পড়ে এবং হামলা চালায়। অপরদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করায় ছাত্রদল ও স্থানীয় বিএনপি নেতারা প্রতিবাদ জানালে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
স্থানীয়রা জানান, প্রথমে মাদ্রাসা এলাকায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় কয়েকজন শিবিরকর্মী আহত হন। পরে পরিস্থিতি শান্ত করতে মোশাররফ আলী হাটে দুই পক্ষ বৈঠকে বসলেও সেখানেও নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ জেলা যুবদলের সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক নয়ন মণি, ছাত্রদল কর্মী মো. তায়েব, এনামুল হক ও তানভীর হাসান। অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের বাঁশখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি আজগর হোসাইন এবং জামায়াতকর্মী মো. রাকিব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ নেয়।
জামায়াতের বাঁশখালী থানার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আরিফুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, শিবিরের কর্মসূচিতে ছাত্রদল প্রথমে হামলা চালায় এবং পরে সালিশে বসার সময় আবারও আমাদের ওপর চড়াও হয়। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার লোকমান আহমদ দাবি করেন, শিবিরের নেতারা তারেক রহমানকে নিয়ে কটূক্তি করায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় এবং তাদের হামলায় বিএনপির কয়েকজন কর্মী আহত হন।
বাঁশখালী থানার তদন্ত পরিদর্শক সুধাংশু শেখর হাওলাদার জানান, বিষয়টি মূলত একটি ছোটখাটো ঘটনা থেকে শুরু হয়ে বড় আকার নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এখনো কোনো পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে