টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা জানাতে আসেনি কেউ, চারদিকে সুনসান নীরবতা

টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ ঘিরে চারদিকে সুনসান নীরবতা।
গত কয়েক দশক ধরে প্রতি বছর ১৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত হতো। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পদচারণায় সরগরম থাকত পুরো কমপ্লেক্স। দিনটির জন্য সপ্তাহখানেক আগে থেকেই চলত সমাধিসৌধ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ।
যদিও গত বছর হাসিনা সরকারের পতনের পরও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শোক দিবস পালন করেছিল, কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। সমাধিসৌধ চত্বর আজ নিস্তব্ধ, জনশূন্য। সাধারণ সমর্থক থেকে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীদের কাউকেই শ্রদ্ধা নিবেদন করতে দেখা যায়নি।
নিরাপত্তার স্বার্থে টুঙ্গিপাড়ায় জারি করা হয়েছে কঠোর গোয়েন্দা তৎপরতা। সমাধিসৌধের চারপাশে স্তরে স্তরে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা বেষ্টনী। শুক্রবার সকাল থেকে সমাধিসৌধ পরিদর্শন করে দেখা যায়, প্রধান গেটে পুলিশ ও র্যাবের সমন্বয়ে কঠোর প্রহরা চলছে। নিরাপত্তা জোরদারে মোতায়েন করা হয়েছে সাঁজোয়া যান ও বিশেষ বাহিনী।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সমাধিসৌধে আজ কোনো দর্শনার্থীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোতে জমে আছে ঝরে পড়া পাতা, পাথরের টাইলসে দেখা দিয়েছে শৈবাল। বিশ্রামাগার ও সংলগ্ন ভবনগুলোর আসবাবপত্রে জমেছে পুরু ধুলোর স্তর। বাগানের ফুলের গাছগুলোও অযত্নে প্রায় শুকিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, "শোক দিবস উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সমাধিসৌধের আশেপাশে আমাদের সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে।"