Site Logo | সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

প্রথমবার ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রথমবার ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাসিন্দারা। ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের মন্ত্রিসভা ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। একই সময় কিয়েভের বিভিন্ন স্থানেও হামলা হয়। সেসব হামলায় বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বেরিডেনকো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানীতে রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত, ১৮ জন আহত এবং সরকারি কার্যালয়সহ কয়েক ডজন ভবনে আগুন লেগেছে।

রয়টার্স বার্তা সংস্থা প্রাথমিকভাবে কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রোববার ভোরে হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন শিশু এবং এক তরুণী রয়েছেন। শহরের পশ্চিম ও পূর্বে বেশ কয়েকটি উঁচু ভবনে আগুন লেগেছে। তা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনেও অনেকের নিহতের শঙ্কা জাগাচ্ছে।

Advertisement

ক্লিটসকো আরও বলেন, ডিনিপ্রো নদীর পূর্বে অবস্থিত পাতাযুক্ত ডার্নিটস্কি জেলায় চিকিৎসকদের জরুরি তলব করা হয়েছে। সেখানে রাতের হামলায় ধ্বংস হওয়া ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি চার তলা অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন লেগেছে। ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ কিয়েভের পশ্চিমে সভিয়াতোশিনস্কি জেলায় একটি ১৬ তলা এবং দুটি ৯ তলা ভবনের ওপরে পড়ে আগুনের সূত্রপাত। কিয়েভের নগর প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো পরে নিশ্চিত করেছেন, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে এক বছরের এক শিশুর মৃতদেহ বের করেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তারা শহরজুড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোর ফায়ারিংয়ের শব্দও শোনা গেছে।

ইউক্রেনীয় সংবাদ ওয়েবসাইট কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টও জানিয়েছে, হামলার পর শহরের ডারনিটস্কি জেলার একটি আশ্রয়কেন্দ্রে একজন বয়স্ক নারী মারা গেছেন। যদিও তার মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।

হামলার ফলে শহর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। এই হামলার পর ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ছাদ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। সেখানে মন্ত্রীদের অফিসও ছিল।

Advertisement

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্বেরিডেনকো বলেছেন, প্রথমবারের মতো শত্রুর আক্রমণে সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ভবনগুলো পুনরুদ্ধার করব, কিন্তু যাদের হারিয়েছি তাদের পাব না। বিশ্বকে কেবল কথা দিয়ে নয়, কর্মের মাধ্যমে এই ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। নিষেধাজ্ঞার চাপ জোরদার করার প্রয়োজন রয়েছে, মূলত রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের বিরুদ্ধে অবরোধ চাই।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×