Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

জেলেনস্কির সতর্কবার্তা: পুতিন যুদ্ধবিরতি নয়, নতুন হামলার পরিকল্পনা করছেন

জেলেনস্কির সতর্কবার্তা: পুতিন যুদ্ধবিরতি নয়, নতুন হামলার পরিকল্পনা করছেন

ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে দিয়েছেন যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার নামে সময় নিচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে ইউক্রেনে নতুন সামরিক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। গত সোমবার রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ অভিযোগ তোলেন।

জেলেনস্কির বক্তব্য অনুযায়ী, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে, যা নতুন হামলার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, "পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতি বা শান্তির পথে নেই। বরং তিনি আগামী আক্রমণের জন্য সেনা সমাবেশ করছেন।"

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক: কৌশল নাকি বিভ্রান্তি?

১৫ আগস্ট আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হতে যাচ্ছে। জেলেনস্কি সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, পুতিন এই বৈঠককে নিজের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে দেখাতে চাইবেন, কিন্তু আসলে যুদ্ধ থামানোর কোনো ইচ্ছা তার নেই।

Advertisement

ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা প্রতিবেদন বলছে, রাশিয়া জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলে সামরিক ইউনিট স্থানান্তর করছে, যা নতুন আক্রমণের পূর্বপ্রস্তুতি বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় সামরিক মুখপাত্র ভ্লাদিস্লাভ ভলোশিনও রয়টার্সকে একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাম্পের প্রস্তাব ও ইউক্রেনের অনড় অবস্থান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে যুদ্ধবিরতির জন্য ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে। তবে জেলেনস্কি এই প্রস্তাব কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এক্স (টুইটার)-এ দেওয়া এক বার্তায় তিনি লিখেছেন, "রাশিয়া যদি হত্যা বন্ধ না করে, তাহলে তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।"

আন্তর্জাতিক সমর্থন: শান্তি চুক্তি ইউক্রেনের শর্তেই

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একযুগে বলেছেন, "ইউক্রেনের সম্মতি ছাড়া কোনো শান্তিচুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।" তাদের বক্তব্য, রাশিয়ার দাবির কাছে ইউক্রেনকে নতি স্বীকার করতে বাধ্য করা যাবে না।

সর্বশেষ পরিস্থিতি

জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেছেন, "রাশিয়া যদি সত্যিই শান্তি চাইত, তাহলে তারা সৈন্য প্রত্যাহার করত, নতুন হামলার প্রস্তুতি নিত না।" ইউক্রেনীয় বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে, যেকোনো নতুন আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত।

Advertisement

এই সংঘাতের সমাধান কূটনৈতিক পথে হবে নাকি রাশিয়া আরও রক্তপাত ঘটাবে—সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×