চোখের ক্ষতি করে এই অভ্যাসগুলো আপনার মধ্যে নেই তো?

আমাদের দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে চোখ অন্যতম। এই চোখ শুধু আমাদের পৃথিবীকে দেখতে সাহায্য করে না, বরং স্বাভাবিক জীবনযাপনও সহজ করে তোলে। কিন্তু রোজকার কিছু খারাপ অভ্যাস আমাদের চোখের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন না করলে চোখে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা ধীরে ধীরে আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে দুর্বল করে দেয়।
দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা
ফোন, ল্যাপটপ বা টিভির পর্দার দিকে দীর্ঘ সময় ধরে তাকিয়ে থাকলে চোখের ওপর অস্বাভাবিক চাপ পড়ে। এর ফলে চোখ শুষ্ক হয়ে যায়, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসে এবং মাথাব্যথার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যদি নিয়মিত বিরতি ছাড়া এই অভ্যাস অব্যাহত থাকে, তাহলে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই প্রতি ২০ মিনিট পর পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকার ‘২০-২০-২০’ নিয়ম মেনে চলতে পারেন।
ঘন ঘন চোখ ঘষা
চোখে চুলকানি বা অস্বস্তি হলে অনেকেই চোখ ঘষতে শুরু করেন। কিন্তু এই অভ্যাসটি চোখের নাজুক টিস্যুর ক্ষতি করে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। হাতের জীবাণু সরাসরি চোখে প্রবেশ করে কনজাংটিভাইটিসের মতো রোগের কারণ হতে পারে। তাই চোখ ঘষা এড়িয়ে চলুন এবং চোখে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সানগ্লাস ব্যবহার না করা
সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি (UV) রশ্মি চোখের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নিয়মিত সানগ্লাস ব্যবহার না করলে চোখে ছানি পড়া, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এবং চোখের চারপাশের ত্বকের অকাল বার্ধক্য দেখা দিতে পারে। তাই বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই ভালো মানের UV-প্রোটেকশন যুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
চোখের মেকআপ না তুলে ঘুমানো
চোখে মেকআপ রেখে ঘুমিয়ে পড়া খুবই বিপজ্জনক। এতে চোখের তেল গ্রন্থিগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে চোখে জ্বালাপোড়া, প্রদাহ এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ঘুমানোর আগে অবশ্যই চোখের মেকআপ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া উচিত।
চোখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব
চোখের সুস্থতার জন্য ভিটামিন-এ, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু আমাদের বর্তমান খাদ্যাভ্যাসে এই পুষ্টি উপাদানগুলোর অভাব প্রায়ই দেখা যায়। তাই চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি, রঙিন ফল, বাদাম, ডিম এবং মাছের মতো পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।