যেসব লক্ষণ দেখা দিলে নবজাতককে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে

জন্মের পর তিন মাস বয়স পর্যন্ত খুব সহজেই গুরুতর নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে নবজাতকপ্রতীকী ছবি: আনস্প্ল্যাশ
জন্মের পর তিন মাস বয়স পর্যন্ত খুব সহজেই গুরুতর নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে নবজাতক। থাকে মৃত্যুঝুঁকিও। শিশুর যেকোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে চাই অভিভাবকের বিশেষ নজরদারি ও সচেতনতা। নবজাতকের শরীর ও হাবভাবে অস্বাভাবিক কয়েকটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড শিশু হাসপাতালের শিশুবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক অলক পাটেল। লক্ষণগুলো জেনে রাখুন।
জ্বর
তিন মাসের কম বয়সী শিশুর হঠাৎ জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। কারণ, যেকোনো জ্বরই নবজাতকের জন্য গুরুতর হতে পারে।
দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস
শিশু যদি পেট বা কাঁধ ব্যবহার করে শ্বাস নেয়, এ সময় যদি চামড়ার ওপর দিয়ে বুকের হাড় দেখা যায় এবং শিশুর কষ্ট হয়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
প্রস্রাব না করা
জন্মের প্রথম সপ্তাহের পর প্রতিদিন গড়ে ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব করে শিশু। নবজাতক আট ঘণ্টা বা তার বেশি সময় ধরে প্রস্রাব না করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ত্বকের রঙের পরিবর্তন
নবজাতকের ত্বক ও চোখের রং পরিবর্তন হলে, বিশেষ করে হলুদ বা নীল হয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
হলুদ বা সবুজ বমি
শিশু অল্প বমি করলে বা লালা ফেললে ভয়ের কারণ নেই। কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণে ও বারবার বমি করলে এবং বমির রং হলুদ বা সবুজ হলে সেটি গুরুতর কোনো রোগের কারণ হতে পারে।
আরও কিছু লক্ষণ
শিশুর নাভি থেকে দুর্গন্ধ বা পানি বের হলে, রক্তপাত হলে তা অসুস্থতার লক্ষণ—এমনটিই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়ার তথ্য।
হাসপাতালটির তথ্য অনুযায়ী, শিশু যদি মাত্রাতিরিক্ত কাঁদে, কান্না যদি কোনোভাবেই থামানো না যায়, সারাক্ষণ বিরক্তি প্রকাশ করে এবং শরীর মোচড়ায়, তাহলে শিশুকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
এ ছাড়া নবজাতকের ঘুম কোনোভাবেই ভাঙানো না গেলে দেরি না করে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে।
সূত্র: ইউনিসেফ প্যারেন্টিং, চিলড্রেনস হসপিটাল অব ফিলাডেলফিয়া