Site Logo | সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ বাহিনী মোতায়েন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় যৌথবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ শেষে বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় ক্যাম্পাসের আশপাশে যৌথবাহিনীর অন্তত ১০টি গাড়ি প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

এর আগে সংঘাতের জেরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও এর আশপাশের এলাকায় আগামীকাল (সোমবার) রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি।

Advertisement

রোববার উপজেলা প্রশাসন এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি নিশ্চিত করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা ও শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২নং গেট বাজারের পূর্ব থেকে রেলগেট পর্যন্ত রাস্তার উভয়পাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হলো। এ অবস্থা রোববার দুপুর ২টা থেকে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত বলবত থাকবে।

এ সময়ে এসব এলাকায় সব সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশীয় অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হলো। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হলো।

এর আগে রোববার সকাল ১০টার দিকে প্রশাসন স্থানীয়দের সঙ্গে মীমাংসার জন্য আসে। ওইসময় থেকে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়রা লাঠি, রড, ছুড়িসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করে। এতে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়ে মেডিকেল সেন্টারে আসে।

Advertisement

কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আনুমানিক দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন জখম ও কাটা ছেঁড়াসহ গুরুতর অবস্থায় আসতে থাকে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সংঘর্ষের ঘটনার জেরে রোববার সকাল থেকে প্রধান ফটক বন্ধ করে জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ সময় হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন তারা। একপর্যায়ে ক্যাম্পাসের পাশে রাতের সংঘর্ষের স্থানে গেলে স্থানীয় লোকজনও লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের কাছে এক ছাত্রী একটি ভবনে ভাড়া থাকেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে তিনি ওই ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করলে দারোয়ানের সঙ্গে তার তর্ক হয়। একপর্যায়ে ভবনের দারোয়ান তাকে মারধর করেন। এ সময় ২ নম্বর গেটে থাকা শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

পরে শিক্ষার্থীরা তাকে ধাওয়া করলে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তখন সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর স্থানীয় লোকজন মাইকে ডেকে লোক জড়ো করে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন।

তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ঘরবাড়ি। জোবরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।

এর আগে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×