Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

অস্থিরতার মধ্যে দেশত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

অস্থিরতার মধ্যে দেশত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী

সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

থাইল্যান্ডের প্রভাবশালী সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা দেশত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি দেশ ছেড়েছেন বলে থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গেছে।

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সংসদীয় ভোটের এক দিন আগে এবং আদালতের রায়ের আগে তিনি দেশত্যাগ করলেন। ওই রায়ে তাকে জেলে পাঠানো হতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, মোট ১৫ বছর স্ব-আরোপিত নির্বাসনে কাটানো ধনকুবের থাকসিনের প্রস্থান এমন এক সময়ে ঘটল, যখন তার প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাসীন ফিউ থাই দলের জোট সরকার অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে।

Advertisement

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবারের হাউস ভোটের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের কাছ থেকে একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে দেশটি।

আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট থাকসিনের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মামলার রায় দেবে, যেখানে তাকে কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে; যা তিনি ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডে ফিরে আসার পর চিকিৎসার কারণে হাসপাতালে থাকায় তার পুরো আটকাদেশ এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

থাকসিনের চলে যাওয়া নিশ্চিত করা সূত্রগুলো তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে কারণ তাদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি ছিল না। ফিউ থাইয়ের একজন মুখপাত্রও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

থাকসিনের আইনজীবী উইনিয়াত চ্যাটমন্ট্রি রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি থাকসিনের দেশত্যাগের বিষয়ে অবগত নন। তবে তিনি বলেছেন যে থাকসিনকে দেশত্যাগ করতে নিষেধ করার আদালতের কোনো নির্দেশনা নেই।

Advertisement

অন্যদিকে ফিউ থাই পার্টির একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, থাকসিন মেডিকেল চেকআপের জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন এবং শুক্রবার থাইল্যান্ডে ফিরে আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয় সিনাওয়াত্রা পরিবারের আরেক সদস্য পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে। কম্বোডিয়ার এক সিনিয়র নেতাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে তাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর দেশটির সাংবিধানিক আদালতও পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পক্ষে রায় দেয়। এর মধ্য দিয়ে বড় ধাক্কা খায় সিনাওয়াত্রা পরিবারের রাজনীতি।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×