Site Logo | সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

চরমোনাই পীরকে পাশে বসিয়ে নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন মামুনুল হক

চরমোনাই পীরকে পাশে বসিয়ে নির্বাচন নিয়ে যে বার্তা দিলেন মামুনুল হক

বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন মাওলানা মামুনুল হক। পাশে চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

Advertisement

শাপলা চত্বরের শহীদদের স্বীকৃতি, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার রাতে ঢাকার ধুপাখোলা মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় সিরাত কমিটি আয়োজিত সিরাতুন্নবী মহাসম্মেলনে মামুনুল হক এসব কথা বলেছেন। এ সময়  মঞ্চে তার পাশের চেয়ারে বসে ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

বক্তব্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুনুল হক বলেন, ‘নির্বাচনফির্বাচন অনেক পরের কাহিনি, কিসের নির্বাচন? ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের শহীদদের রক্তকে প্রথম স্বীকার করতে হবে বাংলার মাটিকে। চব্বিশের সহস্রাধিক জুলাই যোদ্ধারা যে জন্য রক্ত দিয়েছিলেন সেই আধিপত্যবাদের উৎখাত নিশ্চিত করতে হবে। জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে কার্যকর করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান বাংলার মাটিতে চলবে না, চলতে দেওয়া হবে না।’

Advertisement

বাহাত্তর আর চব্বিশের সংঘাতে আপস করার সুযোগ নাই জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, ‘চব্বিশের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করে যারা আবার বাহাত্তরের বাকশালী ব্যবস্থার দিকে ফেরত যেতে চান, আপনারা যদি শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম মুখে উচ্চারণ করেন তাহলে আপনাদের আরেকবার ওজু করা দরকার। আমরা জীবন দেবো, রক্ত দেবো, রক্তের সাগর বইবে কিন্তু চব্বিশের বিপ্লব ব্যর্থ হতে দেবো না ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশে আর সেইসকল স্বৈরাচারীদের ভাস্কর্য নামক মূর্তি স্থাপন হতে দেওয়া হবে না।’

এসময় মামুনুল হক হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘সেই সঙ্গে এটাও বলে দিই, জুলাই যোদ্ধাদের নামে অথবা আমাদের মহান শহীদদের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় ভাস্কর্য স্থাপন করবার বিপজ্জনক খেলা কেউ খেলবার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, যদি আমাদের প্রাণপ্রিয় কলিজার টুকরা শহীদ আবু সাঈদ অথবা মুগ্ধদের যদি কেউ ভাস্কর্য নির্মাণ করতে চান, সেই ভাস্কর্যের সঙ্গে আমাদের সেই আচরণই হবে শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের ভাস্কর্যের সঙ্গে যে আচরণ করেছিলাম, অথবা কেউ যদি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নামে কোনো ভাস্কর্য রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় বসাতে চান, সেই ভাস্কর্য জীবন দিয়ে প্রতিহত করব, ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেব। আদর্শের জায়গায় আমাদের কম্প্রোমাইজ করবার সুযোগ নাই।

মামুনুল হক আরও বলেন, সেই বাহাত্তরের চেতনাকেই প্রতিনিধিত্ব করে বাহাত্তরের সংবিধান। এই সংবিধানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধকে হত্যা করা হয়েছে। এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ভারতের চরণতলে বলি দেওয়া হয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ বাহাত্তরের চেতনার মাধ্যমে একাত্তরের চেতনাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করবে। বাহাত্তরের ভারতীয় আধিপত্যবাদের চেতনা বাংলাদেশে আর চলতে দেওয়া যাবে না।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×