Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রেলপথ অবরোধ: ঢাকা-উত্তরাঞ্চল সংযোগ বিচ্ছিন্ন

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে রেলপথ অবরোধ: ঢাকা-উত্তরাঞ্চল সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথ অবরোধ করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। ছবি : কালবেলা

Advertisement

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আজ নতুন মাত্রা পেয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেল যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এই কর্মসূচির ফলে উভয় দিকের ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদনের দাবিতে এটিই শিক্ষার্থীদের তৃতীয় ধাপের আন্দোলন। গত রোববার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে মহাসড়ক অবরোধের পর ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। সময়সীমা পার হওয়ায় আজ তারা রেলপথ অবরোধ করেছেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রায়হান ও জাকারিয়া হৃদয় জানান, "আট বছর ধরে আমরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই - এ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।"

Advertisement

এই অবরোধের ফলে রেল যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক তপন ঘোষ জানিয়েছেন, "ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস জামতৈল স্টেশনে এবং রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে আটকে আছে। আরও কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে।"

গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল আন্দোলন চলছে। সোমবার তারা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক বন্ধ করে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। মঙ্গলবার বুড়ি পোতাজিয়ায় মহাসড়কেই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল, যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। গত জানুয়ারিতে একটানা ১২ দিন মহাসড়ক অবরোধের পর সরকার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবস বয়কটের মাধ্যমে পুনরায় আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে এখন শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি সম্পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন।


Advertisement
Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×