Site Logo | সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি, সন্ত্রাসী জনির বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিকের কাছে চাঁদা দাবি, সন্ত্রাসী জনির বিরুদ্ধে মামলা

জনি ওরফে বিহারি জনি। ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সিনিয়র রিপোর্টার সোলায়মান হোসেন শাওনের কাছে চাঁদা দাবি করে হুমকি বার্তা দিয়েছে রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকার সন্ত্রাসী জনি ওরফে বিহারি জনি। চাঁদা না দেওয়ায় সাংবাদিক শাওনের পৈতৃক বাড়ির ভাড়াটিয়াদের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল জনি।

সবশেষে গত ৩০ আগস্ট পল্লবী ডি ব্লকের ওই বাড়িতে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী, মাসিক বাসা ভাড়া জনির কাছে দেওয়ার জন্য ভাড়াটিয়াদের শাসিয়ে যায়। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্লবী থানায় গত মঙ্গলবার জনি এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা (নং-৯) দায়ের করেছেন শাওন সোলায়মান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রায় দুই মাস ধরে চাঁদা চেয়ে শাওন সোলায়মান এবং তার বাবা কাওসার হোসেনকে হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি বার্তা দিচ্ছিল সন্ত্রাসী জনি। জনির হুমকি অনুযায়ী, চাঁদা না দেওয়ায়, শাওন সোলায়মানের পৈতৃক বাড়িতে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ভাড়াটিয়াদের মাসের ভাড়া বাড়ির প্রকৃত মালিকের বদলে জনির কাছে দেওয়ার জন্য ভাড়াটিয়াদের ভীতি প্রদর্শনও করে জনি। সবশেষ গত ৩০ আগস্ট জনির সহযোগীরা বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ির ভাড়াটিয়াদের আবারও হুমকি দেয়।

Advertisement

বাড়ির বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করতে গভীর রাতে সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির আশপাশে জনি অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে বলে জানান সাংবাদিক শাওন। তিনি বলেন, প্রথমে যখন হোয়াটসঅ্যাপে চাঁদা চেয়ে হুমকি দেয় জনি, তখন বিষয়টিকে গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু সম্প্রতি সে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন সময় বাইরে মহড়া দিয়ে ভাড়াটিয়াদের আতঙ্কিত করছে। জনির আতঙ্কে ভীত হয়ে এক ভাড়াটিয়া পরিবার বাসা ছেড়েও দিয়েছে। এমন অবস্থায় আইনের আশ্রয় পেতে মামলা করেছি।

এদিকে অত্র এলাকার একাধিক বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাদকাসক্ত জনি খুন, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধে জড়িত। ৫ আগস্টের পূর্বে দীর্ঘদিন জেলে ছিল। ৫ আগস্টের পর জেল থেকে বেরিয়ে অত্র এলাকায় আবারও ত্রাসের রাজত্ব তৈরির চেষ্টা করছে। নিজেকে সে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ভাই মশিউরের ‘শ্যুটার’ হিসেবে পরিচয় দেয়। জনির আতঙ্কে এলাকাবাসী মুখ খুলতে বা থানায় মামলা করতেও ভয় পাচ্ছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×