বাকৃবির সমস্যা নিরসনে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মত শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, আজ শিক্ষার্থীরা রেল অবরোধ করার পর আমাদের একজন সহকারী প্রক্টর তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ব্যাংকে তালা দেওয়ার সময় আমি নিজে গিয়ে কথা বলেছি। এখনো আমাদের দুজন সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছেন। আজকের মধ্যে কখন আলোচনা বসা যাবে, সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি মনোনয়ন দেওয়া হলে উপাচার্যকে জানানো হবে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই আলোচনা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, আলোচনায় বসার জন্য কোনো শর্ত নয়, নিঃশর্তভাবেই বসতে হবে। শিক্ষার্থীরা আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, আমরাও খোলা মন নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। দিন শেষে শ্রদ্ধা ও স্নেহের বন্ধনে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অটুট রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমেই বাকৃবির এই অচলাবস্থা কেটে যাবে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল জানান, কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে চলমান এই আন্দোলনের সমাধানের জন্য আমরা নিঃশর্তভাবে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেসময় পর্যন্ত রেল অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই না ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক খারাপ হোক। গত এক মাস ধরে আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছি। এখন চাই সেটির একটি ফলপ্রসূ সমাধান হোক।
রেল অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয়, সেই দিক বিবেচনায় আমরা যৌক্তিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরাও চাই না এই আন্দোলন দীর্ঘায়িত হোক। তাই আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছি। তবে আলোচনা যদি ফলপ্রসূ না হয়, তাহলে আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এই আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক।