ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কিত ছাত্রশিবির

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে একপক্ষীয় আচরণের অভিযোগ তুলে ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। শিবিরের নেতা–কর্মীরা এবার ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নামে প্যানেলে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এই প্যানেলের জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ‘আমরা আসলে শঙ্কিত ডাকসু নিয়ে। প্রশাসন খুবই একপক্ষীয় আচরণ করছে।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ এ কথা বলেন। তিনি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রশিবিরের নির্বাচনী ইশতেহারে কী কী বিষয় থাকছে, সেগুলো তুলে ধরেন সংগঠনটির ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক কায়েম। সাদিক কায়েম ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিগত কমিটির সভাপতি ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম ফরহাদ বলেন, ‘এখন আইনি কর্তৃত্ব বা ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত নির্বাচিত প্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও বা কোনো বিষয় দ্বারা প্রশাসনের অংশ না হওয়া সত্ত্বেও আমরা আমাদের দিক থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমরা কর্তৃপক্ষ না বলে বেশি চাপ দিতে পারি না। আমরা নির্বাচিত হলে প্রথম মাসে প্রথম কাজ থাকবে সবার আবাসন ভাতা নিশ্চিত করা। আমাদের সক্ষমতা ও আমাদের পূর্বঅভিজ্ঞতা বলে যে সততার সঙ্গে কাজ করলে অনেক সমস্যার সমাধান করা যাবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ বলেন, ‘আমরা আসলে শঙ্কিত ডাকসু নিয়ে। প্রশাসন খুবই একপক্ষীয় আচরণ করছে। একজন প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় তার খাওয়াদাওয়াসহ নানা আয়োজন পরিচালনা করার পর যখন তা শেষ হলো, তখন আমরা বিজ্ঞপ্তি দেখতে পেয়েছি যে এখন থেকে খাওয়াদাওয়া করা যাবে না। এ ছাড়া প্রচারণায় রঙিন ছবি নাকি ব্যবহার করা যাবে না। একজন নির্দিষ্ট প্রার্থী দেখবেন যে তিনি কমল মেডিএইড বা বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করেছেন। সেগুলোর পোস্টার এখনো সারা ক্যাম্পাসে ঘুরছে। অনেকে নীতিমালা লঙ্ঘন করলেও কিছু হচ্ছে না।’
ইসলামী ছাত্রশিবিরের এই নেতা অভিযোগ করেন, ডাকসুর নির্বাচন কমিশন, হল প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন শিক্ষক একটি দলের কর্মসূচিতে গিয়ে দলটির প্রতিনিধিত্ব করছেন। ফরহাদ বলেন, ‘তিনি দল করতেই পারেন কিন্তু আচরণে এভাবে সেটার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোয় আমরা সিরিয়াসলি আতঙ্কিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যে পরিমাণ স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে ডাকসুতে অংশগ্রহণ করছে, আমার মনে হয় কেউ যদি এখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেটা শিক্ষার্থীরা প্রতিহত করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে শিবিরের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম যেসব প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন, সেগুলোর মধ্যে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনসংকটের সমাধানে কাজ করা, ক্যানটিনে খাবারের মানোন্নয়নে কাজ করা, বিশ্বমানের গ্রন্থাগার স্থাপনে কাজ করা ইত্যাদি।