Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিএনপি ও যুবদল নেতাদের নেতৃত্বে ঘরবাড়ি দখলের অভিযোগ, প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ ভুক্তভোগীদের

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।”

Advertisement

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় অসহায় লুৎফর রহমানের বসতভিটা ও ঘরবাড়ি অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা শাহ জালাল দর্জি ও যুবদল নেতা লাভলুর বিরুদ্ধে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের কিছু সহযোগীও এ ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।


এ ঘটনার প্রতিবাদে রবিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ভূরুঙ্গামারী বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীর আয়োজনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement


অভিযোগের বিস্তারিত

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, গত ৪ আগস্ট ২০২৪ সালে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মৃত গহর উল্লাহর পুত্র আমিনুর রহমান ও মৃত মুনছের আলীর পুত্র নুর ইসলাম মিলে লুৎফর রহমানের বসতভিটা ও ঘরবাড়ি দখল করে নেয়।


Advertisement

ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ অনুযায়ী ভুক্তভোগী লুৎফর রহমান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দাখিল করলে, কুড়িগ্রামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূরুঙ্গামারীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।


প্রশাসনিক পদক্ষেপ

তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র যাচাই করে সিদ্ধান্ত দেন যে—

লুৎফর রহমানের পরিবারকে তাদের বসতভিটায় পুনর্বাসন করা হবে।লুৎফরের সুপারির বাগানে থাকা আমিনুরদের টিনের বেড়া তারা নিজেরাই সরিয়ে নেবে।লুৎফরের ক্রয়কৃত ১২ শতক জমি দলিল অনুযায়ী পরিমাপ করতে ৫ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়।টিমের আহ্বায়ক ছিলেন সাংবাদিক রেজাউল আলম প্রিন্স, সদস্য ছিলেন সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন আরিফ, শাহ জালাল দর্জি, নুর মোহাম্মদ ভুট্টু ও লাভলু রহমান।


তদন্তে অধিকাংশ সদস্য লুৎফরের জমি ফেরত দেওয়ার পক্ষে মত দিলেও বিএনপি নেতা শাহ জালাল দর্জি ও যুবদল নেতা লাভলু রহমান সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকার করেন। বরং তারা ইউএনও’র নির্দেশ অমান্য করে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন।


Advertisement

মানববন্ধনে ক্ষোভ ও দাবি

বক্তারা বলেন, আওয়ামী সরকার পতনের পর শাহ জালাল দর্জি, তার ভাতিজা যুবদল সভাপতি লাভলু ও স্থানীয় কিছু সহযোগী মিলে মব সৃষ্টি করে লুৎফর রহমানের পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে। বর্তমানে তারা পুরো বসতভিটা ও ঘরবাড়ি দখল করে রেখেছে।


প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, যদি প্রশাসন দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখত তবে এমন দুঃসাহসী দখল সম্ভব হতো না।


তারা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দায়ীদের শাস্তি এবং ভুক্তভোগী পরিবারের বসতভিটা ও ঘরবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×