Site Logo | মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রেকিং নিউজ

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

হাসনাতকে ‌‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বললেন রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি : সংগৃহীত

Advertisement

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহর মধ্যে বাগযুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

হাসনাত আব্দুল্লাহ রুমিন ফারহানাকে ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক অন্যতম সম্পাদক’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের শুনানিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এনসিপির নেতাদের ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনার পর এ কথা বলেছেন হাসনাত।

Advertisement

এর পাল্টা জবাবে রুমিন ফারহানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাসনাত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে তাকে ‘ফকিন্নির বাচ্চা’ বলে গালি দেন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) রুমিন ফারহানা ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘এটা ওই ফকিন্নির বাচ্চাটা (হাসনাত আব্দুল্লাহ) না, যে আমাকে আওয়ামী লীগ বিষয়ক সম্পাদক বলেছে?’ এ সময় তিনি হাসনাত আব্দুল্লাহর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিভিন্ন ছবি ও প্রমাণ পোস্টে সংযুক্ত করেছেন।

পোস্টটি ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে এবং ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। অসংখ্য মানুষ কমেন্টে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া ও শেয়ার করেছে।


Advertisement

এর আগে রোববার রুমিন ফারহানাকে উদ্দেশ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি কীভাবে ভোটকেন্দ্র দখল করবে, তার একটি ‘টেস্ট ম্যাচ’ হয়ে গেল শুনানিতে এনসিপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলার মধ্য দিয়ে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক রয়েছেন অনেকেই, যারা আওয়ামী লীগ থেকেও বেশি আওয়ামী লীগ। বিএনপির আওয়ামী লীগবিষয়ক সম্পাদক যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম রুমিন ফারহানা।’

সমালোচনা করে হাসনাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, আওয়ামী লীগের ফ্ল্যাটভোগী এবং যারা গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ঠান্ডা করে দিতে চায়, একটি প্রেসক্রিপটিভ ইলেকশনের দিকে আবার যেতে চায়, আমরা বিএনপির এই আওয়ামীবিষয়ক সম্পাদকদের বলব, আপনারা জনগণের পালসকে বুঝুন, ২৪-পরবর্তী জনগণের পালসকে বুঝুন। নতুবা আবার বাংলাদেশ সংকটের দিকে যাবে।’

Advertisement
Advertisement
Advertisement
Loading...
×