ফিলিস্তিনি নেতাদের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান আটকে দিল যুক্তরাষ্ট্র

ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদানের জন্য নিউইয়র্ক যাওয়ার কথা ছিল। ছবি: সংগৃহীত
সামনের মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও আরও প্রায় ৮০ জন কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও অভিযোগ করেছেন, ফিলিস্তিনি নেতারা শান্তি প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছেন এবং ‘একটি কাল্পনিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতি’ চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই অস্বাভাবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল।
সাধারণত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বৈঠকে অংশ নিতে বিদেশি প্রতিনিধিদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের। তবে এবার তা থেকে সরে আসায় বিষয়টি জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না—তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ওই চুক্তিতে বলা আছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যাই হোক না কেন, কোনো দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে বাধা দেওয়া যাবে না।
আব্বাসের দপ্তর এ সিদ্ধান্তে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, বিশেষত যখন ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য।’ তারা যুক্তরাষ্ট্রকে ভিসা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, জাতিসংঘ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবে। মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক বলেন, সব সদস্য রাষ্ট্র ও পর্যবেক্ষকদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত এই ক্ষেত্রে যেখানে ফ্রান্স ও সৌদি আরবের নেতৃত্বে দুই-রাষ্ট্র সমাধান নিয়ে বৈঠক হতে যাচ্ছে।
১৯৭৪ সাল থেকে ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক মর্যাদা ভোগ করছে। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে পশ্চিম তীর ও গাজার সীমান্ত বিরোধ, ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ এবং চলমান সংঘাতের কারণে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বাস্তবায়ন এখনও অনিশ্চিত রয়ে গেছে। সূত্র: বিবিসি