Tag: আওয়ামী লীগ

  • ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

    ঝালকাঠিতে ১৬ জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল, রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে

    ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল মান্নান রসুল ও বারের সম্পাদকসহ আওয়ামীপন্থী ১৬ আইনজীবীর সদস্য পদ বাতিল করেছে বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

    সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিমুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের সদস্য পদ বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।সদস্য পদ বাতিলকৃত ১৬ জন সদস্যকে আলাদা আলাদা চিঠি দেওয়া হয়।

    বাতিলের বিষয়ে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিলের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আপনার সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।তবে কী কারণে বা সমিতির গঠনতন্ত্রের কোন ধারা অনুযায়ী তাদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে তা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়নি।
    পদ বাতিল হওয়া আইনজীবী সদস্যরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সাবেক পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবদুল মান্নান রসুল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহসভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ও তার ছেলে আইনজীবী মো. মোর্শেদ কামাল তালুকদার, সাবেক সরকারি কৌশলী (জিপি) তপন কুমার রায় চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এডিশনাল (পিপি) এম আলম খান কামাল।ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এডিশনাল (পিপি) আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান (মনু), জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো: মাহাবুবুর রহমান তালুকদার, জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমিতির সদস্য সচিব সাবেক নলছিটি উপজেলা চেয়ারম্যান জি কে মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এপিপি সঞ্জয় কুমার মিত্র, মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, কার্তিক চন্দ্র দত্ত, সৈয়দ মো:জাহাঙ্গীর শামীম, তানজিলা হক, মো: আবুল বাশার ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এস. এম. রুহুল আমীন রিজভী।

    জেলা আইনজীবী সমিতির ভর্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ঝালকাঠি প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আক্কাস সিকদার বলেন, শুধু আওয়ামীপন্থী ১৬ জন নয়, আরো বিভিন্ন দলের সমর্থক এবং অনিয়মিত ৩০ জনের সদস্য পদ বাতিল নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি।

    তবে জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী সদস্য ও ঝালকাঠি জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খান বলেন, চিঠিতে কার্যনির্বাহী কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে সদস্য পদ বাতিল করার বিষয়টি যে উল্লেখ করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। এ বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।আমরা কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্য পদ বাতিলের বিষয়টি সাধারণ সভায় উপস্থাপন করার জন্য মতামত দিয়েছিলাম। ১৬ জন সদস্যের বাতিলের বিষয়টি সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক হয়নি।

    ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি শহর বিএনপির সভাপতি মো. নাসিমুল হাসান বলেন, ‘আমরা জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে উল্লিখিত ১৬ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটির প্রতিবেদনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাদের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডসহ আইনজীবীদের মারধর, মামলা হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। ৫ আগস্ট এর পরে যারা আদালতে প্র্যাকটিস করে না, আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ভণ্ডুল করেছে, সিনিয়র আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করেছে এসব বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী এই ১৬ সদস্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
    জেলা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক তাদের সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে।’

    সদস্যপদ বাতিল হওয়া কার্তিক চন্দ্র দত্ত বলেন, আমাদের আইনজীবী সমিতি সদস্য পদ অন্যায়ভাবে বাতিল করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    সদস্যপদ বাতিল হওয়া আরেক আইনজীবী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিন রিজভী বলেন, ‘আমি উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিদেশে অবস্থান করছি। সদস্য পদ বাতিলের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই জানা নেই। যদি আমার সদস্য পদ বাতিল করা হয়, সেটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে করা হয়েছে।

    আলোচিত ১৬ জনের সদস্য বাতিল হওয়ার পরপরই এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কারণ আওয়ামী লীগ আমলে আইনজীবী সমিতিও বিভিন্ন আইন কর্মকর্তাদের নাম এ তালিকায় না থাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছে, বিএনপির আইনজীবীদের সাথে সখ্যতা থাকায় অনেক আওয়ামী পন্থী আইনজীবীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। যারা বিএনপির অনেক সিনিয়র আইনজীবীকে হেনস্তা করেছেন তারাও বহাল তবিয়তে রয়েছেন এমন প্রশ্ন বিএনপির সমর্থকদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপিপন্থী বর্তমান আইনজীবী সমিতির কর্মকর্তারা।

  • চার হ’ত্যা ও ভাঙচুর মা’মলায় মমতাজের রি’মান্ড শেষ কা’রাগারে প্রেরণ

    চার হ’ত্যা ও ভাঙচুর মা’মলায় মমতাজের রি’মান্ড শেষ কা’রাগারে প্রেরণ

    হত্যা ও ভাঙচুরের পৃথক দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মমতাজকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (১ জুন) মানিকগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।

    সকালেই কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্য দিয়ে মমতাজকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে নতুন করে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ।

    মমতাজের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে সিংগাইরের গোবিন্দলে সংঘটিত চারজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৪ দিনের এবং হরিরামপুরে বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুরের মামলায় ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। দুটি মামলার মোট ৬ দিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে বর্তমানে একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, ভাঙচুর ও রাজনৈতিক সহিংসতার অভিযোগ।

    এর আগে, গত ১২ মে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মমতাজকে। পরে তাকে মানিকগঞ্জ আদালতে হাজির করা হলে আদালতের বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং তাকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ করা হয়।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মমতাজ কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকবেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, মামলার তদন্তে প্রয়োজন হলে আবারও তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হতে পারে।

    আরও পড়ুন : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আজ

    চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিষিদ্ধ মাদক হেরোইন উদ্ধার, শ্যামল গ্রেফতার

  • আওয়ামী লীগ-সম্পর্কিত দোসর দের চিহ্নিত করার নামে মব সৃষ্টি বরদাস্ত নয়: ডিএমপি

    আওয়ামী লীগ-সম্পর্কিত দোসর দের চিহ্নিত করার নামে মব সৃষ্টি বরদাস্ত নয়: ডিএমপি

    আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট বন্ধুদের চিহ্নিত করার নামে কোনো গণজমায়েত বা বাড়ি ঘেরাওয়ের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

    বুধবার (২১ মে) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। হাজারীবাগ এলাকায় দুইটি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের পর এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।

    মোহাম্মদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়কসহ তিনজনকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা ঘেরাওয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জামিনে মুক্তি দেয়। তারা ওই বাসাকে “আওয়ামী লীগ বন্ধুর বাসা” বলে দাবি করেছিল।

    এই ঘটনার জেরে ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ জারি করেছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। তিনি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে মুক্তির দাবি করেছিলেন।

    ধানমন্ডিতে রাতে ‘চাঁদা না পাওয়ায়’ বাসা ঘেরাওয়ের গুজব নিয়েও কথা বলেন ডিসি মাসুদ আলম। তিনি বলেন, “আমরা চাঁদা চাওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না। কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়ে অভিযোগ করেন, তবে আমরা ব্যবস্থা নেব।”

    তিনি আরও বলেন, “পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা নির্দেশ দিয়েছেন, এ ধরনের গণজমায়েত করে কাউকে ক্ষতি করা যাবে না। ভবিষ্যতে যেটা ঘটেছে, সেটাই হবে—ঘটনার আগেই ব্যবস্থা। পুলিশের ভূমিকায় কেউ নিজে থেকে বাড়ি ঘেরাও বা কাউকে ধরিয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে না।”

    “আওয়ামী লীগের কোনো শীর্ষ নেতার বা তাদের সহকর্মীর বিরুদ্ধে আপনার কাছে তথ্য থাকলে আমাদের জানান। আমরা যাচাই করে ব্যবস্থা নেব। তবে বাড়ি ঘেরাও করার কোনো সুযোগ নেই,” — বলেন তিনি।

    আটকদের মুক্তি দিতে হান্নান মাসুদের হস্তক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ডিসি বলেন, “এটা কোনো হস্তক্ষেপ না। ঘটনা ঘটার আগেই তারা আটক হয়েছিল এবং তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না, তাই জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বন্ডে স্পষ্ট করে লেখা আছে, এটি শেষবারের মতো ছাড়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আবার এমন ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

  • বিএনপির এত অভাব পড়েনি যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আনতে হবে-সালাহউদ্দিন আহমদ

    বিএনপির এত অভাব পড়েনি যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আনতে হবে-সালাহউদ্দিন আহমদ

    সিলেট, ১৯ মে —
    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “বিএনপির কি এতটাই দুর্দিন এসেছে যে গণতন্ত্রহীন আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, “যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএতেই গণতন্ত্রের চিহ্ন নেই, সেই দলের কারও প্রতি আমাদের আহ্বান কেন থাকবে?”

    সোমবার বিকেলে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ের এই কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

    সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা একসময় গণহত্যার রেকর্ড গড়েছে, রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েছে। অথচ আজও তারা নিজেদের কৃতকর্মের জন্য লজ্জিত নয়, অনুশোচনাও করে না। বরং, গণ-অভ্যুত্থানের সময় যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে, তাদের দুষ্কৃতকারী বলে অপবাদ দিচ্ছে। এই মানসিকতা নিয়ে কীভাবে তারা রাজনীতি করতে চায়?”

    আরও পড়ুন:

    তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই বুঝতে পেরেছিলেন দেশে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সে কারণেই ২০২৩ সালে তিনি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। আমরা জানতাম— ফ্যাসিবাদ চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। আজ তার পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছে।”

    বক্তব্যে তিনি শহীদদের স্মরণ করে বলেন, “যারা জনগণকে হত্যা করেছে, গুম করেছে, পঙ্গু করেছে, তাদেরকে একদিন জবাবদিহি করতে হবেই। আর যেন বাংলাদেশে কোনোদিন স্বৈরশাসক বা ফ্যাসিবাদের জন্ম না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জি কে গউছ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাতসহ আরও অনেকে।

    অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সদস্য নবায়নের পাশাপাশি আগামী আন্দোলন সংগ্রামের জন্য দলকে সংগঠিত করতে এই কর্মসূচিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা।

  • গেজেট পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন: সিইসি

    গেজেট পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন: সিইসি

    গেজেট পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন: সিইসি

    সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারি গেজেট বা কাগজপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

    গতকাল রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন সিইসি।

    নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। এ বিষয়ে সোমবার (আজ) একটি বৈঠক করা হবে। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

    পত্রিকা বা টেলিভিশন রিপোর্টের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলে মন্তব্য করেন সিইসি।

    আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গত শনিবার রাতে নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

    এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    এ লক্ষ্যে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত রয়েছেন, এমন ব্যক্তি বা সত্তার ও তাদের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫–এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় গতকাল।

    রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই খসড়া অনুমোদন করে উপদেষ্টা পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

    বৈঠকের সারসংক্ষেপে বলা হয়, ‘কতিপয় সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ ও তাদের কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করার নিমিত্ত সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করা হয়।’

    সারসংক্ষেপে আরও বলা হয়, ‘তবে বর্তমান আইনে কোনো সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের বিষয়ে কোনো বিধান নেই। বিষয়টি স্পষ্টীকরণসহ বিধান সংযোজন আবশ্যক হেতু সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯–কে সময়োপযোগী করে আইনের অধিকতর সংশোধন সমীচীন ও প্রয়োজন।’

    বর্ণিত পটভূমিতে সন্ত্রাসবিরোধী আইন সংশোধন করে সত্তার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, প্রয়োজনীয় অভিযোজন করা এবং অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধকরণের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

  • সিংড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    সিংড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    সিংড়ায় আওয়ামী লীগ নেতার নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

    টোরের সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চৌগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহেদুল ইসলাম ভোলার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে চৌগ্রাম ইউনিয়নের জনসাধারণ।

    মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টায় উপজেলার কান্তনগর পয়েন্টে ইউনিয়নের নারী-পুরুষ ও ভুক্তভোগীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।

    ছিনতাই, জমিদখল, খুন, জখম, নির্যাতন, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও হামলার বিচার দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মনিরুজ্জামান মনির, মোজাম্মেল হক, ভুক্তভোগী টিপু সুলতান, তাহের রহমান, শাহেবার ইসলাম, রুস্তম আলী, আলতাব হোসেন, শাহজাহান আলী প্রমুখ।

    এসময় বক্তারা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১০নং চৌগ্রাম ইউনিয়নে ভোলা বাহিনী সাধারণ জনগনের উপর পৈশাচিক নির্যাতন চালায়। তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যাবহার করে পুকুর দখল, জমি দখল, গুম, খুন ছিনতায়ের মত জঘন্য কাজ করে। ভোলা ৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগের পতন হলেও ভোলা বাহিনীর পতন হয়নি। তারা আবার সক্রিয় হয়ে সাধারণ জনগনকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। তাই আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে এই ভোলা বাহিনীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।