| ২৯ জুন ২০২৫
শিরোনাম:

রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং গোয়ালন্দের আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং গোয়ালন্দের আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত ৩টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত ১৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সোমবার (০৫ মে) বিকেলে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্সরুমে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন।

তিনি বলেন, প্রবাসী আল আমিন হত্যার ঘটনায় পুলিশ পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ইকরাম মন্ডলের ছেলে রুবেল মন্ডল (২০), একই গ্রামের টিক্কা সরদারের ছেলে মোঃ শাকিল সরদার (২৪) কে রবিবার দিবাগত রাতে পাবনা জেলার সুজানগর ও আমিনপুর উপজেলার দুর্গম চর এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২৫ এপ্রিল দুপুর আড়াই টার সময় পদ্মা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রাখালগাছি সিএন্ডবি রাস্তার মাথায় উপর্যুপরি কোপ খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। শনিবার প্রবাসী আল আমিন (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা, কাজিরহাট নৌ-পুলিশ। আল আমিন পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে।

আল আমিন প্রায় ৭ বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় কর্মরত ছিল। গত ৪ মাস বাড়িতে ছুটিতে এসেছে। গত ১৫-১৬ দিন আগে শাহ আলী তার নিকট ৩ হাজার টাকা দাবি করে চা-টা খাওয়ার জন্য। আল আমিন টাকা না দেওয়ায় তাকে মোবাইলে গালিগালাজ করে এবং কথা কাটাকাটি হয়। শুক্রবার দুপুর আড়াই টার সময় পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের আল আমিন, তার মামা লিটন, বোন আকলিমা সহ ঢালার চর গ্রামের খৈয়মের মেয়েকে দেখতে আসে। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে ফুফাতো ভগ্নিপতি মেগা সরদারকে সাথে নিয়ে আল আমিন মোটরসাইকেল যোগে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রাখালগাছি বাজারে যায়। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাহ আলি, রবিউল, ঠান্ডু, জুয়েল ফকির, সেলিম সহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ৪ টি মোটরাইকেল যোগে আল আমিনের পিছু পিছু এসে রাখালগাছি বাজারের রাস্তার মাথায় পথরোধ করে। এসময় আল আমিনকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করলে প্রাণে বাঁচার জন্য পাশ্ববর্তী পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের বিষয়টি পাবনার আমিনপুর, গোয়ালন্দ ঘাট থানা অবগত হলে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও কাজিরহাট নৌ পুলিশ স্পিড বোড ও ডুবুরি নিয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে। এ ঘটনায় গত ২৬ এপ্রিল গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের করে। এ মামলায় ইতিপুর্বে পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার ধাড়াই গ্রামের মোন্তাজ সরদারের ছেলে মেগা সরদার (৪৭), একই উপজেলার চক আব্দুল শুকুর গ্রামের নায়েব আলী ফকিরের ছেলে জুয়েল রানা (৪২) ও কমরপুর গ্রামের আলো মৃধার ছেলে ঠান্ডু মৃধা (৩৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে রুবেল মন্ডল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

আরও পড়ুন:

সর্বহারা নেতা সুশীল কুমার সরকার হত্যাকাণ্ড ঃ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে চরমপন্থী নেতা সুশিল হত্যার মামলার আসামী মোঃ রুবেল শেখ (২৭) কে গ্রেপ্তার করেছে। রুবেল গোয়ালন্দ উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের মোঃ তোফসের আলী শেখের ছেলে।

রবিবার সকাল ৮টার সময় মানিকগঞ্জ জেলার শিবলায় থানার পাটুরিয়া ঘাটের মাছ বাজার হতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গত ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার কাটাখালী এলাকার ইমদাদুলের চায়ের দোকানের পাশে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভোট ভাকলা ইউনিয়নের কেউটিল গ্রামের মনিন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে ও চরমপন্থি নেতা সুশিল কুমার সরকার (৫৮) কে কুপিয়ে ও গুলি করে। তাকে ডেকে নিয়ে পাশেই চরমপন্থিরা অভ্যন্তরিন কোন্দলের জের ধরে তাকে গলায় কুপিয়ে ও এলোপাথারী গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ওইদিন রাতেই অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই সুনিল কুমার সরকার।  ইতিপুর্বে এ মামলার ঘটনায় গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বরাট চরকাচরন্দ গ্রামের মৃত সালাম শেখের ছেলে মোঃ তোফাজ্জেল শেখ ওরফে তোফা (৩৮), মৃত মজিবর শেখের ছেলে মোঃ লোকমান শেখ (৩৫), মৃত আঃ জব্বার শেখ ওরফে দোয়াত শেখের ছেলে আশিকুল শেখ ওরফে ভাসান শেখ (২৮) ও কালাম মোল্যার ছেলে মোঃ জনি মোল্যা (৩৪) কে গ্রেপ্তার করে।
সর্বহারা নেতা শহীদ মোল্যা হত্যাকান্ড ঃ রবিবার বিকেল সোয়া ৪টায় পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার খাসচরের দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাবনা জেলার আমিনপুর উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়নের ধড়াই গ্রামের মৃত আইনউদ্দিন মন্ডলের ছেলে খাইরুল মন্ডল (৪৬) কে গ্রেপ্তার করে।

গত ২০২৪ সালের ১৩ জুলাই পাবনা জেলার আমিনপুর থানার বড় দুর্গাপুর গ্রামের মোঃ কানাই মোল্লার ছেলে চরমপন্থী নেতা সহিদ মোল্লার (৪৪) কে হত্যা করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ফেলে যায়। তার মরদেহ গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ উদ্ধার করে। নদী কেন্দ্রীক চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রমজান মাতুব্বর পাড়া এলাকার মেহগনি বাগানে মারপিট করা হয়। এরপর কয়েকজন মিলে বিকেল পৌনে পাঁচটার সময় তাকে গোয়ালন্দ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। এ ঘটনায় ১৪ জুলাই গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা দায়ের হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও চাঁদাবাজির ৫টি মামলা ছিল। এ মামলায় ইতিপুর্বে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের গোপালবাড়ী গ্রামের ইদ্রিস আলী খানের ছেলে মোঃ শাকিল খান (২৫), গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মোঃ হালিম খানের ছেলে মোঃ হাসিবুল হাসান (২২) কে গ্রেপ্তার করে।

রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মোছাঃ শামিমা পারভীন বলেন, প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পরই পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করাসহ অপরাধীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে। অপরাধ দমনে রাজবাড়ী জেলা পুলিশ বিশেষ টিম গঠনের ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছে। এ সব হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেব্রত সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবিতে ফের সড়ক অবরোধ, খুলনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি

রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং গোয়ালন্দের আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে ফের উত্তাল খুলনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শনিবার (২৮ জুন) বেলা ৩টা থেকে কেএমপি কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ফলে খানজাহান আলী রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়, চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা জানান, সম্প্রতি খানজাহান আলী থানা এলাকায় উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে আটক করে স্থানীয় লোকজন ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের হাতে তুলে দিলেও তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অথচ এই এসআই’র বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও বিএনপির খুলনা মহানগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে দাবি তাদের। পরে পুলিশ সুকান্তকে গ্রেফতার করলেও কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন থামেনি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, খুলনায় দিন দিন আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটছে। হত্যা, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা ও চোরাচালান রোধে প্রশাসনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলে তারা দাবি করেন। সব অপরাধের দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। তা না হলে লাগাতার আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষুব্ধরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা কমিশনারের পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। একই দাবিতে বিএনপিও আগে আল্টিমেটাম দেয়।

স্থানীয়দের আশঙ্কা, কমিশনারের পদত্যাগ দাবি ঘিরে খুলনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

শ্যামনগরে উৎসব মুখর পরিবেশে হিন্দুধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং গোয়ালন্দের আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, ভূরুলিয়া সোনামুগারী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, হরিনগর সাধু পাড়া শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির, মুন্সিগঞ্জ ধানখালী শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দির সহ অন্যান্য মন্দিরের আয়োজনে শুক্রবার (২৭ জুন) শ্রী শ্রী জগন্নাথ বলদেব ও সুভদ্রা মহারানীর রথযাত্রা মহোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা সদরের গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরের রথটি বিকাল ৪ টায় গোপালপুর মন্দির থেকে সহস্রাধিক ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উৎসব মুখর পরিবেশে টেনে নিয়ে নকিপুর হরিতল সার্বজনীন মন্দিরে রাখেন। নকিপুর হরিতলা থেকে একটি রথ টেনে ভক্তবৃন্দ বল্লভপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রাখেন।

 

গোপালপুর শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ মন্দিরে রথযাত্রা উৎসবের পূর্বে মন্দির চত্তরে মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ কৃষ্ণ সখা দাস ব্রক্ষ্মচারীর সার্বিক পরিচালনায় আলোচনাসভায় অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি নেতা এ্যাড, সৈয়দ ইফতেখার আলী, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলা শাখার সভাপতি রবীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের সভাপতি বিষ্ণু পদ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক কিরণ শংকর চ্যাটার্জী, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণানন্দ মুখ্যার্জী, জেলা ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ শ্যামনগর উপজেলার নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ শ্যামনগরের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

আলোচনাসভার মাঝে মাঝে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মন্দিরের ভক্তবৃন্দ সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ। আলোচনাসভা শেষে প্রসাদও বিতরণ করা হয়।

সকল রথযাত্রা উৎসবে ভক্তবৃন্দ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে রথের দড়ি ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে নিয়ে যান গন্তব্য স্থলে।

সিইসি-প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের আলোচ্য বিষয় প্রকাশের দাবি বিএনপির

রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং গোয়ালন্দের আলোচিত ৩ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন সহ ১৩ জন গ্রেপ্তার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশনার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে জনসমক্ষে তুলে ধরা উচিত।

 

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেলে গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীনের মধ্যে একান্ত বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়টি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তবে জনগণের জানার অধিকার আছে—তারা কী নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 

বিএনপি নেতার মতে, বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে পরোক্ষ বার্তা দেওয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ মুহূর্তে বাস্তবসম্মত নয়। দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত।

 

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, “জামায়াত স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও অধিকাংশ রাজনৈতিক দল জাতীয় নির্বাচন আগে চায়। আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্যও সেটিই। নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব হলো অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা।”

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।

×