মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আগুনের কুণ্ডলী ও ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
রোববার (৪ মে) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টেকনাফ থেকে সীমান্তের ওপারে তিনটি স্থানে আগুন ও ধোঁয়া উঠতে দেখেছেন স্থানীয়রা।
ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারা জানান, রাখাইনে ফেলে আসা রোহিঙ্গাদের পরিত্যক্ত বাড়িঘরগুলো আরাকান আর্মি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি মিয়ানমারে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ও মানবিক করিডর নিয়ে চলমান আলোচনার মধ্যেই এমন ঘটনা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। এছাড়াও, রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ওপর আরাকান আর্মির নির্যাতন চলমান থাকায় এখনো অনেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
টেকনাফ সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিকেলে শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাট এলাকায় ঘুরতে গিয়ে হঠাৎ করে জেটির ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে আগুন ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান। একসাথে সীমান্তের ওপারে তিন-চারটি স্থানে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে।
রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা জুবায়ের বলেন, রাখাইনে এখনো রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সেখানে তাদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে। শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তের ওপারে পতেংজা পাড়া, মগ্নি পাড়া ও হাইরি পাড়ায় রোহিঙ্গাদের বসবাস ছিল। আরাকান আর্মি এসব এলাকায় আগুন দিচ্ছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, সীমান্তের ওপারে আগুন ও ধোঁয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নতুন করে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এদিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিও কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নতুন করে কাউকে সীমান্ত অতিক্রম করে ঢুকতে দেওয়া হবে না।