৩৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করলো জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ

দেশের আবাসন খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (NHA)। সংস্থাটি সম্প্রতি ৩৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করেছে। নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন নবায়ন না করা এবং অনুমোদন ছাড়া জমি ও ফ্ল্যাট বিক্রির অভিযোগে এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোন কোন কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল হয়েছে?
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, নিবন্ধন বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হলোঃ
ভিশন ২১ ডিজাইন, প্রিমিয়াম হাউজিং এস্টেট, এনা প্রপার্টিজ, গ্রেট ওয়ালস, গ্লোরিয়াস প্রপার্টিজ, ম্যাক্সিম হোল্ডিংস, তুরিন হাউজিং, বিওসিএল, বেস্টওয়ে ফাউন্ডেশন, সাফিজ ল্যান্ডস, আরডিপি প্রপার্টিজ, গার্ডিয়ান রিয়েল এস্টেট, ভেনাস হাউজিং, এফআইসিএল, পারিজাত ডেভেলপমেন্ট, দিশারী রিয়েল এস্টেট, ভেনিস অব বেঙ্গল, বসুধা বিল্ডার্স, রূপান্তর ডিজাইন, প্রান্তিক প্রপার্টিজ, নেটওয়ার্ক ২০০৮ বিডি, বসুতি বিল্ডার্স, এসএফএল চন্দ্রিমা সিটি, হীরাঝিল, হার্ব হোল্ডিংস, নবোদয় হাউজিং, আমাদের বাড়ী, নবধারা হাউজিং, রিচমন্ড ডেভেলপারস, পূবালী ল্যান্ড, ড্রিম প্যারাডাইজ, সবুজ ছায়া, ইউরো বাংলা, সৃজন হাউজিং এবং ম্যাগপাই হাউজিং লিমিটেড।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিকবার নোটিশ পাঠানোর পরও এসব কোম্পানি নিয়মিত রেজিস্ট্রেশন নবায়ন করেনি। বরং, অনুমোদন না নিয়েই বিভিন্ন প্রকল্প বিক্রি ও প্রচারণা চালিয়েছে, যা সরাসরি ভোক্তা স্বার্থের পরিপন্থী। এ কারণে আবাসন বাজারের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং সাধারণ গ্রাহকদের রক্ষা করতে সংস্থাটি কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা বলেন,
> “আমরা বারবার সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু অনেকে নিয়ম ভেঙে ব্যবসা চালিয়ে গেছে। তাই, গ্রাহকের স্বার্থে নিবন্ধন বাতিলের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
গ্রাহকদের জন্য সতর্কবার্তাঃ
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সাধারণ জনগণকে সতর্ক করে বলেছে, জমি বা ফ্ল্যাট কেনার আগে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বৈধ নিবন্ধন ও প্রকল্প অনুমোদন যাচাই করে নিতে হবে। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন করলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে।
রিয়েল এস্টেট খাতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলোর কার্যক্রমের উপর আরো কঠোর নজরদারি চালানো হবে। নিয়মিত নিবন্ধন নবায়ন, প্রকল্পের যথাযথ অনুমোদন এবং গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি, অনিয়ম ধরা পড়লে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।