
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী এবং ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের কাজ দ্রুতই শুরু হচ্ছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে—এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আশ্বাস, এক সপ্তাহের মধ্যেই বেরিয়ে আসবে পুরো ঘটনার পেছনের রহস্য।
আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শীর্ষ কর্মকর্তারা এক বৈঠকে বসেন। সেখানে উঠে আসে তদন্তের অগ্রগতি এবং বিচার প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ডিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এবং রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলমসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন
উপাচার্যের কথায় আশার আলো
বৈঠক শেষে উপাচার্য বলেন, “সাম্যর পরিবার আজ এক ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের পাশে আছি। অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করছি। রোববার বিকাল ৩টায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গেও একটি বিশেষ সভা হবে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবসময় সচেতন বলেও আশ্বস্ত করেন।
ডিএমপির কমিশনার যা বললেন
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানান, “আসামিদের রোববার থেকে রিমান্ডে নেওয়া হবে। আমরা দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দাখিল করবো। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের পেছনের মোটিভ ও সব তথ্য প্রকাশ করতে পারবো।”
তিনি আরও বলেন, “বিচার বিলম্বিত হবে না। এজন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার কার্যক্রম চলবে।”
তদন্ত চলছে নানা দিক থেকে
রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখন থেকেই আমরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে তল্লাশি চালাই। শমরিতা ও বিআরবি হাসপাতাল থেকে দুজনকে এবং ফার্মগেটের রাজাবাজার এলাকা থেকে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করি।”
তিনি জানান, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তারা আরও তথ্য পেয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু প্রকাশ করছেন না।
“রিমান্ডে থাকা আসামিদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে আমরা ঘটনা পুরোপুরি উদঘাটন করতে পারবো,”— বলেন ডেপুটি কমিশনার।