
নোয়াখালীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলেজ, মাদ্রাসাসহ মোট ৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এই ঘোষিত কমিটিকে ‘পকেট কমিটি’ বলে দাবি করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন পদবঞ্চিত নেতারা। এই বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহও করা হয়।
আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নোয়াখালী সরকারি কলেজ, সোনাপুর ডিগ্রি কলেজ, চৌমুহনী এস এ কলেজ, কবিরহাট সরকারি কলেজ, সরকারি মুজিব কলেজসহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা আয়োজন করেন। গত রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির স্বাক্ষরিত আলাদা চিঠির মাধ্যমে এসব কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পদবঞ্চিত ছাত্রদল নেতারা অভিযোগ করেন, তারা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আন্দোলন ও সংগ্রামে মাঠে ছিলেন, আওয়ামী শাসনের সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের মতে, এসব কমিটি মূলত অর্থের বিনিময়ে এবং বিশেষ কিছু পক্ষের ইচ্ছায় গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানীগঞ্জের সরকারি মুজিব কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাদের মির্জার হেলমেট বাহিনীর সদস্য, কিশোর গ্যাং, অছাত্র ও বিবাহিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বিক্ষোভকারী নেতারা কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন এবং নতুন কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতাদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। তারা আরো বলেন, দীর্ঘদিনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি এবং অযোগ্য ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, কমিটি ঘোষণার পর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কমিটির নেতারা পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন। সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি মারুফ হাসান রিফাত, সহসভাপতি তানভীর হোসেন ফুয়াদ, কাজী এলাহী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক হৃদয় মজুমদার এবং বামনী ডিগ্রি কলেজের প্রচার সম্পাদক ইয়াজ উদ্দিন সাকিব তাদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।