আফগানদের বাংলাওয়াশ দেখালো টাইগাররা
সাইফ হোসেন, ছবি: সংগৃহীত
প্রথম দুই ম্যাচেই জয় এসেছে বটে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাপটটা যেন পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষ ম্যাচে এসে সেই আক্ষেপ ঘুচল জাকের আলীর দলের। ব্যাটে, বলে, ফিল্ডিংয়ে—সব বিভাগেই শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে আফগানিস্তানকে কোনো সুযোগই দেয়নি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে ১৪৩ রানে আটকে রেখে ৬ উইকেট আর ১২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের দল। তাতেই তিন ম্যাচ সিরিজে আফগানদের ধবলধোলাইয়ের সাধ পূরণ হলো বাংলাদেশের।
১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরস্থির। ওপেনার পারভেজ হোসেন ১৪ রানে আউট হলেও অপরপ্রান্তে আক্রমণাত্মক ছিলেন তানজিদ হাসান ও সাইফ হাসান। পাওয়ারপ্লেতে সাইফের এক ছক্কায় ইনিংসের গতি বাড়ে। তানজিদ ৩৩ রান করে ফেরার পর অধিনায়ক জাকের আলীর সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান সাইফ।
ইনিংসের শেষ দিকে সাইফের ব্যাটে আসে অর্ধশতক—টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি এটি। আহমেদজাইয়ের এক ওভারে একাই নেন ১৫ রান, যার মধ্যে ছিল গ্যালারির ছাদে আছড়ে পড়া এক বিশাল ছক্কা—সেই শটে পৌঁছে যান ৫০ রানে। শেষদিকে নুরুল হাসানের ছক্কায় সহজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে তোলে ১৪৩ রান। দলের হয়ে দারউইশ রাসুলি করেন ৩২, সেদিকউল্লাহ আতাল ২৮ ও মুজিব উর রেহমান অপরাজিত ২৩ রান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নিয়েছেন ৩ উইকেট, নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব পেয়েছেন ২টি করে।
এই জয়ের মাধ্যমে ২০১৮ সালে দেরাদুনে পাওয়া ধবলধোলাইয়ের প্রতিশোধও নেওয়া হলো। সেবার পূর্ণ শক্তির দল নিয়েও আফগানদের কাছে ৩–০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০২৩ সালে রশিদ খানদের ২–০ ব্যবধানে হারানো গেলেও, তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাইয়ের শোধটা তোলা হয়নি। আজ অবশেষে, সেই অধরা প্রতিশোধটাও পূর্ণ হলো জাকের আলীদের হাতে।