

ডেস্ক রিপোর্ট।।
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। এসময় নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় হরতাল সমর্থনকারীরা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হরতাল সমর্থনকারী মিছিল সহকারে এসে জেলা নির্বাচন অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
তারা সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে পরে জেলা প্রশাসক ও জজ কোর্টের ও প্রধান ফটোকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াত ইসলামী, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এনসিপির নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
এদিন সকাল থেকে বাগেরহাটের ১৬টি রুটে দূরপাল্লার কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। জরুরি প্রয়োজনে যারা পথে নেমেছেন তাদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
সকাল সাতটার পর শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, দশানী মোড়, খান জাহান আলী (রহ.) মাজার মোড়, মুনিগঞ্জ সেতু ও দরটানা টোল প্লাজা ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। তবে শহরে সীমিত আকারে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, রিকশা ও ভ্যান চলতে দেখা গেছে।
যাত্রী ফারুক হোসেন বলেন, আমার জরুরি কাজে ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু বাস বন্ধ থাকায় যেতে পারছি না। বিকল্প পথে যেতে হলে তিন-চার গুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। হরতালে আমাদের মতো সাধারণ মানুষই বেশি ভোগান্তিতে পড়ি।
বাগেরহাট যুব দলের সাবেক সভাপতি ফকির তারিকুল হাসান বলেন, আসন কমানোর সিদ্ধান্ত জনগণের স্বার্থবিরোধী। তাই শান্তিপূর্ণ হরতালের মাধ্যমে আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জনগণ আমাদের এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, নির্বাচন কমিশনের অন্যায্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা হচ্ছে। জনগণের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনেই আমরা এই কর্মসূচি দিয়েছি।
হরতালের কারণে শহরের অধিকাংশ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। এদিকে জেলা নির্বাচন অফিস, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জজ আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।