বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে নিজের
ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে
তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিশুদের বিশ্বাস ও
মূল্যবোধের নিরাপত্তা চেয়েছেন।
ফেসবুক পোস্টে মিজানুর রহমান আজহারী
লেখেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে এ দেশের অভিভাবকদের দীর্ঘদিনের দাবি উপেক্ষা করে,
অযাচিতভাবে সংগীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। আমরা এই অবিবেচনাপ্রসূত
সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘মুসলিম
সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত ধর্মীয়
শিক্ষক নেই। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অথচ সংগীতের মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে
ডেডিকেটেড শিক্ষক নিয়োগ স্পষ্টতই জন আকাঙ্ক্ষা পরিপন্থি। আমরা আমাদের
সন্তানদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের নিরাপত্তা চাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৮
আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’-এর গেজেট
জারি করে সরকার। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি নতুন শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা
হয়েছে। সেগুলো হলো- সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (চারুকলা)।
তবে
দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদ সৃষ্টির দাবি উঠলেও তা
বিধিমালায় যুক্ত করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন মাদরাসা থেকে স্নাতক ও সমমান
ডিগ্রি অর্জন করা প্রার্থীরা সহকারী শিক্ষক (ইসলাম শিক্ষা) পদ সৃষ্টির দাবি
জানিয়ে আসছেন।