রিফাত আলী
সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি
খেলাফত মজলিসের আমির ও শাপলা
স্মৃতি সংসদের সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শাপলা চত্বরের রক্তের
স্রোতেই চব্বিশের চেতনার ধারা শুরু হয়েছে। জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলার কথা
আসেনি- এই দায় যেমন ড. ইউনূস সাহেবকে নিতে হবে, তেমনি পুরো
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও নিতে হবে।
তিনি বলেন, শাপলার চেতনাকে আগামীর
বাংলাদেশের মাইলফলক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই শাপলা স্মৃতি সংসদ
প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শাপলার শহীদ পরিবারের অভিভাবকত্ব গ্রহণের জন্য গঠিত
হয়েছে শাপলা শহীদ গার্ডিয়ান্স ফোরাম। আগামীর বাংলাদেশে জুলাইকে মূল্যায়ন
করা মানেই শাপলাকেও মূল্যায়ন করা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাজধানীর
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শাপলা স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে
অনুষ্ঠিত হলো ‘শাপলা কেন্দ্রিক বিভিন্ন কাজে অংশীজনের সম্মাননা ও
সম্মিলনী-২০২৫’।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মামুনুল
হক। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী।
অনুষ্ঠান যৌথভাবে পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দীন, মাওলানা আল
আবিদ শাকির ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাগর।
আলোচকরা বলেন, শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই ইতিহাস গোপন করার অপচেষ্টা
বিগত এক যুগ ধরে চললেও শাপলার রক্ত শহীদদের ত্যাগকে চিরজীবন্ত করে রেখেছে।
শাপলা স্মৃতি সংসদ আগামী প্রজন্মের কাছে এই সত্য তুলে ধরতে অটল থাকবে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির
মাওলানা আব্দুল হামিদ (পীর সাহেব মধুপুর) বলেন, শাপলার শহীদরা আমাদের ঈমানি
শক্তির প্রতীক। তাদের আত্মত্যাগকে ধারণ করেই ইসলামী আন্দোলন এগিয়ে যাবে।
জামায়াতে ইসলাম বাংলাদেশের জয়েন্ট
সেক্রেটারি আব্দুল হালিম বলেন, বিগত পনেরো বছরে বাংলাদেশের আলেম সমাজকে
ভিন্নভাবে চিত্রিত করা হয়েছে। এখন তা পাল্টে গেছে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক
আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, শাপলার ঘটনা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব
টিকিয়ে রাখার ঘটনা। ’৭২-এর পর থেকে দেশের চালক পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু
দেশের কোনো পরিবর্তন হয়নি। সংবিধান পরিবর্তন না হলে আবারো শাপলা ফিরে
আসবে, আবারো ১৮ ফিরে আসবে, আবারো ২৪ ফিরে আসবে।
বিএনপির সমাজকল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান
রতন বলেন, ইসলামের তাহযিব ও তামাদ্দুন রক্ষায় আপনাদের বজ্রকণ্ঠ যতদিন
থাকবে, ততদিন এদেশে ইনসাফ থাকবে। ভিপি নূরের রক্ত বৃথা গেলে আগামীতে
দাড়ি-টুপি ওয়ালাদের জন্যও অপমান অপেক্ষা করছে।
মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন বলেন, শাপলা শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় প্রজন্মকে ইতিহাস সচেতন করা এখন জরুরি দায়িত্ব।
দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান
শিব্বির মাহমুদ বলেন, মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও দিগন্ত শাপলার সত্য
তুলে ধরেছিল। এর জন্য আজকের এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য গৌরবের।