

ডেস্ক রিপোর্ট।।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র তরুণ ও জনপ্রিয় নেতার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানা যায়। কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক ও কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সভাপতি, এশিউর গুপের চেয়ারম্যান শেখ সাদীর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এমনটি অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগে জানা যায়, বিএনপি নেতা ও শিল্পপতি শেখ সাদী দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত এবং ঢাকায় কুষ্টিয়াবাসীর একটি সামাজিক ও উন্নয়নমূলক সংগঠন "কুষ্টিয়া জেলা সমিতি" এ সংগঠনটি একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক মূলক সংগঠন। সংগঠনটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন শিল্পপতি, গুণীজন, সমাজ সেবক, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ সমাজের এলিট শ্রেণীর ব্যক্তিরা। আর এই সংগঠনটির নেতৃত্বে প্রথম থেকেই রয়েছে এশিউর গুপের চেয়ারম্যান শেখ সাদী। আর এই সংগঠনটির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার উন্নয়নমূলক অনেক সেবামূলক কাজ করেছে শেখ সাদী।
কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সদস্য হিসাবে তৎকালীন ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুল আলম হানিফ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রোগ্রামে উপস্থিত হতেন। আর এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন ছবিকে কাজে লাগিয়ে এবং নিখুঁত সুপার-এডিটের মাধ্যমে এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল শেখ সাদীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ কুষ্টিয়া-৪ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ সাদী এবং নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা ও মনোনয়ন দৌড়ে সবার শীর্ষে থাকায় তার বিরুদ্ধে এ সমস্ত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করছে তার এলাকার নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে শেখ সাদী বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই জাতীয়তাবাদী চিন্তা বুকে ধারণ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ালেখার সময় থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। এবং ছাত্র জীবন শেষ করে ব্যবসায়িক জীবনে মননিবেশ করি কিন্তু আড়াল থেকেই দলের সমস্ত কর্মকাণ্ডে সাহায্য সহযোগিতা করি। কারণ বিএনপি করার অপরাধে এবং বগুড়াতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি পরিদর্শনে গেলে আমাকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বিভিন্ন হেনস্থার শিকার করা হয়, আমাকে ডিবি পুলিশ দিয়ে তুলে নেওয়া হয়, আমার প্রতিষ্ঠান এশিউর গ্রুপে এনএসআই সহ সে সময়ের সরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার জন্য। এরপর দলের বিভিন্ন সিনিয়র নেতৃবৃন্দের পরামর্শে আমি দলীয় কর্মকাণ্ডে কখনো সামনে আসেনি কিন্তু পেছন থেকেই দলীয় কর্মীদের আদালতে জামিন, নির্যাতনের শিকার হওয়া কর্মীদের চিকিৎসা, দলের বিভিন্ন প্রোগ্রাম এর অর্থ সরবরাহ সহ দুঃসময়ে দলের পাশে দাঁড়িয়েছি। আবারো বলছি, কুষ্টিয়া জেলা সমিতি একটি অরাজনৈতিক সংগঠন এখানে কুষ্টিয়া জেলার সবার সদস্য হওয়ার অধিকার আছে যা আমাদের সংগঠনের সংবিধানে উল্লেখ আছে। কুষ্টিয়া জেলা সমিতির বিভিন্ন প্রোগ্রামের বিভিন্ন ছবিকে কাজে লাগিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বলতে চাই, মাহবুবুল আলম হানিফ, সুলতানা তরুণ এদের সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই এবং যে ছবিগুলো দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সে ছবিগুলো দেখেন স্পষ্ট আছে ওখানে আমার একক কোনো ছবি নেই।
শেখ সাদী'র এমন স্পষ্ট বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, তার জনপ্রিয়তা দেখে হিংসিত হয়ে একটি কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং এ বিষয়ে তার নির্বাচনী এলাকা কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী - খোকসা) তার সমর্থিত বিএনপি'র নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।