

ইমরান হোসেন
ইতালি গমনেচ্ছু বাংলাদেশিদের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, ইতালির ভিসা প্রাপ্তির জন্য শুধুমাত্র সরকারি কনস্যুলার ফি এবং প্রশাসনিক ফি প্রদান করলেই চলবে - কোনো প্রকার অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই।
ইতালি সরকারের 'ফ্লুসি ডিক্রি' কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ এই কর্মসূচিতে পুনরায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ইতালিতে মৌসুমি কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। তবে কিছু অসাধু চক্র ভিসা প্রার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতালি সরকারের নতুন আইন (ল' ডিক্রি নম্বর-১৪৫) অনুযায়ী ভিসা প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষেই ভিসা প্রদান বা প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ হলেও ইতালীয় দূতাবাস ইতোমধ্যে ৪০ হাজার মুলতবি আবেদনের মধ্যে ৮ হাজার নিষ্পত্তি করেছে।
গত মে মাসে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে স্বাক্ষরিত অভিবাসন চুক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলা হয়েছে, এই চুক্তি বৈধ উপায়ে কর্মী প্রেরণ ও অনিয়মিত অভিবাসন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে জাল নথিপত্র জমা দেওয়ার কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, ভিসা প্রক্রিয়ায় ধৈর্য ধরতে হবে এবং কোনো প্রকার নেতিবাচক প্রচারণা বা কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে হবে, যা ইতালি সরকারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ভিসা প্রাপ্তির জন্য শুধুমাত্র সরকারি ফি প্রদানই যথেষ্ট এবং অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করলে তা ভিসা বাতিলের কারণ হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।