ডেস্ক রিপোর্ট।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, শহীদ আবরার ফাহাদ ছিলেন শোষণ, আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক। তার শাহাদাতের মধ্য দিয়েই দেশে গণজাগরণের সূচনা হয়েছিল।
তিনি জানান, ডাকসুর পক্ষ থেকে ৭ অক্টোবরকে আগ্রাসন বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোকেও ওই দিনকে আগ্রাসন বিরোধী দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রাতে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন সাদিক কায়েম।
এর আগে রাত ১১টা ৫ মিনিটে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আবরারের কবর জিয়ারত করেন। এ সময় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ, ইসলামী ছাত্রশিবির ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। জিয়ারতের পর তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
সাদিক কায়েম আরও বলেন, গত ১৬ বছরের "ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থায়" নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসে ‘গণরুম কালচার’ চালু করে শিক্ষার্থীদের অধিকার হরণ করেছে। আধিপত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছেন, তাদের হত্যা বৈধ মনে করা হয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, পুরো বাংলাদেশ ভারতের সাবলেট কলোনিতে পরিণত হয়েছিল, যেখানে সব সিদ্ধান্তই নেওয়া হতো ভারতের প্রেসক্রিপশনে।
তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতনে আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। ভারত-বাংলাদেশের অসম চুক্তি ও পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশের কারণেই তাকে জীবন দিতে হয়েছিল।
পরে রাত ১২টার দিকে ভিপি সাদিক কায়েম কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানার মোড়ে আবরার ফাহাদ লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। সেখানে শিবির ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।