ডেস্ক রিপোর্ট।।
রাশেদ খান বলেছেন, গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা ইতোমধ্যেই বসেছেন, আন্তরিকভাবে আলোচনা হয়েছে এবং সবাই চায় তারুণ্যের শক্তি বিভক্ত না রেখে একযোগে কাজ করা হোক। দু’দলের মধ্যে আন্তরিকতা ও উদারতা রয়েছে। এখনও বলা যাচ্ছে না যে তারা মিলে নতুন কোনো দল গঠন করবে কি না; তবে আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে।
তিনি এসব কথা বলেন বুধবার (১ অক্টোবর) ঝিনাইদহের প্রধান পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করার পর।
রাশেদ খান বলেন, ‘‘আবারও আমরা বসে আলোচনা করবো। যদি দুই তরুণ শক্তি এক হয়ে নতুন কোনো দল গঠন করে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তবে বাংলাদেশে নতুন এক সম্ভাবনা তৈরি হবে।’’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জাতির উপহার দেয়ার বিষয়ে সরকার বক্তব্য রেখেছে এবং নির্বাচন কমিশনও রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে।’’ তিনি দাবি করেন, ‘‘ভারত এবং আওয়ামী লীগ মিলে নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করছে। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে পাহাড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করা হয়েছে; সেখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভারতের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের উন্নয়নকে রোধ করা।’’
রাশেদ আরও বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি এই দেশে আর স্বাধীনভাবে নির্বাচন করতে পারবে না। পিআর নিয়ে জটিলতা আছে, তা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’’
জাতিসংঘ সফরে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘জনগণ ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। আমি বলেছি—সরকার যদি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার নিয়ে ইতিবাচক সঙ্কেত দেয়, এবং উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের প্রতি তাদের সহানুভূতি দেখান, তা অপ্রত্যাশিত হবে।’’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঘিরে তার মন্তব্য ‘‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছিল গণঅভ্যুত্থানের ফল; সেই অভ্যুত্থান হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ফলে আওয়ামী লীগের দেশে ফিরে আসার আর সুযোগ নেই। যেখানে স্বৈরাচার ছাড়িয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন এবং দলসহ কলকাতায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান, সেখানে আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশী দল নয় এটাই প্রমাণ করছে।’’
জাতীয় পার্টি সম্পর্কে তিনি দাবি করেন, ‘‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জিএম কাদের ভারতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি সাংবাদিকদের বলতে পারেননি কার সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে—কারণ সেটা ভারতের অনুমতি ছাড়া বলা সম্ভব নয়। এর মানে হলো আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মূলত ভারতের স্বার্থে কাজ করেছে।’’
শেষে তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না কে ক্ষমতায় যাবে। জনকল্যাণে যারা কাজ করবে, তারাই ভবিষ্যতে ক্ষমতায় যাবে। সরকার যে বন্দোবস্থ শুরু করেছে, আমাদের তা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মিলিতভাবে সহযোগিতা করা উচিত। নতুন দাবি তুলে সরকারের ব্যর্থতা চাইলে তা সফল হবে না; নির্বাচন বানচাল হবে—এমন কোনো আন্দোলন করা যাবে না।’’
তিনি আরও জানান, ‘‘সরকার ব্যর্থ হলে ১/১১-বার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। কিন্তু হাসিনা দিল্লি থেকে আবার বাংলাদেশে ফিরবেন—তাই আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে এক রাখি।’’