"ভারত বন্ধুত্বের মুখোশে গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে”
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার পথে যারা বাধা দেবে, তারাই দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সবচেয়ে বড় শত্রু বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর আয়োজনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদু বলেন, “বাংলাদেশ তখনই বিপন্ন হবে, যখন জনগণ-সম্পৃক্ত গণতান্ত্রিক সরকারের অনুপস্থিতি থাকবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ববোধ অনির্বাচিত বা অন্তর্বর্তী সরকারের মতো নয়।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশে এমন একটি সরকার ছিল, যারা টানা ১৫ বছর তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় ছিল। শেখ হাসিনা সেই সরকারের নেতৃত্বে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ফ্যাসিবাদী ও লুটপাটকারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।”
দুদু দাবি করেন, “বর্তমানে শেখ হাসিনা পলাতক অবস্থায় আছেন এবং এমন এক দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, যারা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে সীমান্ত সিল করেছে।” তার অভিযোগ, “ভারত বন্ধুত্বের মুখোশে গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।”
তিনি বলেন, “জনগণের ভোটের মাধ্যমেই এমন সরকার প্রতিষ্ঠা হতে হবে, যা হবে জনগণের হৃদয়ের সরকার। ষড়যন্ত্র বা টালবাহানায় সেই প্রক্রিয়া ব্যাহত হলে তা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী হবে।”
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান দুদু।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম কায়ছার লিংকন, চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবির ও গিয়াস উদ্দিন খোকন প্রমুখ।