| ৭ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

সাটুরিয়ায় সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিকের সম্মানহানির অপচেষ্টা, কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

সাটুরিয়ায় সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিকের সম্মানহানির অপচেষ্টা, কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় জনমনে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিক জানান, শুধু হামলার শিকারই হননি, হামলার পর শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও সম্মানহানির অপচেষ্টা।

 

সম্প্রতি ধামরাই থেকে আসা এক কথিত পল্লী চিকিৎসক কাশেম তার ওপর হামলা চালান। আবুবকর থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযুক্ত কাশেমকে গ্রেপ্তার করে। আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

কিন্তু এখানেই শেষ নয়। অভিযোগ উঠেছে, কাশেমকে রক্ষা করতে গিয়ে একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিক আবুবকরের বিরুদ্ধে সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এমনকি তাকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে বিভিন্ন ভিত্তিহীন মামলায়।

 

সাংবাদিক আবুবকর বলেন, আমি শুধু পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু এখন আমার পরিবারকে নিয়েও আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতি একজন সাংবাদিকের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

 

তিনি প্রশাসনের কাছে দাবি জানান, শুধু গ্রেপ্তারই নয়, হামলার সঙ্গে জড়িত সব ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা বলেন, একজন সাংবাদিককে ভয়ভীতি দেখিয়ে থামানো যাবে না। আমরা তারপাশে আছি।

 

যে যত কথাই বলুক, জামায়াত-এনসিপি ক্ষমতায় আসবে না— মাসুদ কামাল

সাটুরিয়ায় সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিকের সম্মানহানির অপচেষ্টা, কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, যে যত কথাই বলুক না কেন, জামায়াত ও এনসিপি কখনোই বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারবে না।সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

তিনি বলেন, প্রশাসনের ভেতরে জামায়াত-বিএনপি এখনও সমানভাবে সক্রিয়। এনসিপির অবস্থানও দিন দিন বাড়ছে—তদবিরের জোরে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শুধুমাত্র তদবির করে কিংবা প্রশাসনে ঢুকে কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে না।

 

মাসুদ কামাল আরও বলেন, যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তখন জামায়াতের কেউ থাকলেও এনসিপির কোনো নেতা কি সচিবালয়ে গিয়ে ধমক দিতে পারবে? না, পারবেন না। এই যে এখন তারা যেভাবে উপভোগ করছে, সেটা তখন আর হবে না। জামায়াতের সংগঠন আছে, একটা শক্ত ভিত্তি আছে। কিন্তু এনসিপির কী আছে? শুধু ড. ইউনূস আছেন।

 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিকরা আজ সচিবালয়ে ঢুকতে পারে না, অথচ এনসিপি কিংবা বৈষম্যবিরোধী সংগঠনের নেতারা দিব্যি ঢুকে পড়ছেন। এসব কীভাবে হয়? কেউ যাতে এই বৈষম্য বা অনিয়ম প্রকাশ না করে, সে জন্য সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন বাতিল পর্যন্ত করা হয়েছে।

 

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণে মাসুদ কামাল বলেন, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এখনো এমন কোনো পরিস্থিতিতে পৌঁছায়নি যে তারা জামায়াত কিংবা এনসিপিকে ক্ষমতায় বসাবে। সুতরাং যত বড় কথাই বলা হোক, তিন মাস, ছয় মাস বা তিন বছর—এরা ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

 

সবশেষে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের ছবি টাঙানোর সাহস তারা পাচ্ছে এখন যেভাবে ক্ষমতার স্বাদ নিচ্ছে বলেই। কিন্তু যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তখন তাদের সেই সুযোগ থাকবে না। এখন জামায়াতের লোকজন যেসব জায়গায় বসে আছে—বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে—সবই এক সময় চলে যাবে।

ডিসেম্বরে ঘোষণা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: নির্বাচন কমিশনার

সাটুরিয়ায় সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিকের সম্মানহানির অপচেষ্টা, কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

আগামী ডিসেম্বরেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

রবিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বর থেকে প্রবাসী ভোটারদের জন্য ভোটার শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রবাসী ভোটারদের প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, তাদের জন্য ভোট গ্রহণে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হলে সংশ্লিষ্ট আসনে পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ বন্ধ করে দেয়া হবে। কারণ, শুধু এক লাখ প্রবাসী ভোটারের জন্য খরচ হতে পারে ৬-৭ কোটি টাকা।

ভোটার তালিকা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন এবং ভোট দেওয়ার অধিকার পাবেন।

পোস্টাল ব্যালটের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। সানাউল্লাহ জানান, এই ব্যালটে প্রার্থীর নাম থাকবে না, শুধু প্রতীক থাকবে। এতে সময় বাঁচবে। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে বাংলাদেশ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য প্রবাসী ভোটারদের তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, দেশে আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন।

ঘুরতে গিয়েছিলাম, ভাবছিলাম ভবিষ্যৎ”—সাগরপাড়ে বসে আত্মচিন্তার কথা বললেন নাসীরুদ্দীন

সাটুরিয়ায় সাংবাদিক আবুবকর সিদ্দিকের সম্মানহানির অপচেষ্টা, কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলেন ঠিকই, তবে উদ্দেশ্য ছিল একান্তে বসে দেশের ভবিষ্যৎ, রাজনীতি এবং গণতন্ত্র নিয়ে গভীর চিন্তা করা।

গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সফরের পর সামাজিক মাধ্যমে নানা গুজব ছড়ায় এবং দলীয়ভাবে তাকে শোকজ করা হয়। বৃহস্পতিবার শোকজের জবাবে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “ঘুরতে যাওয়া অপরাধ নয়। ইতিহাস সব সময় শুধু সভায় নয়, কখনো সাগরপাড়েও জন্ম নেয়।”

ওই দিনটি ছিল এনসিপির ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ ও স্বৈরাচার পতনের বার্ষিকী। এ উপলক্ষে দলের কয়েকজন নেতা কক্সবাজারে অবস্থান করলে গুজব রটে, তারা সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস–এর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। যদিও পরে স্পষ্ট হয়, ওই সময়ে পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন।

সফরের ব্যাখ্যায় নাসীরুদ্দীন জানান, এটি ছিল তার ব্যক্তিগত সফর। সফরসঙ্গী ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। দল থেকে কোনো সাংগঠনিক বা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব না থাকায় তিনি মানসিক বিশ্রাম ও আত্মপ্রস্তুতির জন্য ওই ভ্রমণে যান।

তিনি আরও বলেন, “আমার সফরের সঙ্গে দলের কোনো প্রোগ্রামের সম্পর্ক ছিল না। কেউ চাইলে একে ঘোরাফেরা বলতে পারে, তবে আমি একে বলি আত্মচিন্তা। আমি কক্সবাজারে বসেই ভাবছিলাম গণতন্ত্র, নাগরিক কমিটি, গণপরিষদ এবং একটি নতুন সংবিধান নিয়ে।”

ভ্রমণকে ঘিরে ছড়ানো গুজবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, হোটেল কর্তৃপক্ষও নিশ্চিত করেছে যে পিটার হাস সেখানে ছিলেন না।

সবশেষে, দলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকজের জবাবে তিনি লেখেন, আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে দায়িত্বশীল চিন্তা করেছি। ঘুরতে যাওয়াকে অপরাধ ভাবার কিছু নেই। অনেক সময় নির্জনতা থেকেই ইতিহাস জন্ম নেয়।

×