| ৩ আগস্ট ২০২৫
শিরোনাম:

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) যেন আজ ভিন্ন এক সকালে জেগে উঠেছিল—পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধে আলোকিত হয়ে। ২ আগস্ট সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।ক্যাম্পাসের প্রতিটি হল চত্বর যেন মুখর ছিল এক আনন্দময়, দৃশ্যের সাক্ষী হয়ে। বিজয় ২৪ হল থেকে শুরু করে একে একে এম কেরামত আলী হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১ ও ২, তাপসী রাবেয়া বসরী ছাত্রী হল এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে এই পরিচ্ছন্নতার মহোৎসব। দীর্ঘ দু’ঘণ্টার এই কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে থাকা এই মানুষটি নিজ হাতে ঝাড়ু নিয়ে নামেন হলগুলোর করিডোর, ডাইনিং স্পেস, বাথরুম ও আবাসিক কক্ষগুলোতে। তার হাতে যখন ঝাড়ুর স্পর্শে উঠতে থাকে ধুলোবালির স্তর, তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের চোখে ভাসে সম্মানের আলো।

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সম্পর্কে পবিপ্রবির ভিসি প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কেবল জ্ঞানের কেন্দ্র নয়, বরং এটি শিক্ষার্থীদের মানবিক, দায়িত্বশীল ও নৈতিকভাবে গড়ে ওঠার একটি মঞ্চ। পবিপ্রবির ছাত্রছাত্রীরা যেন পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে অন্যদের জন্য উদাহরণ হয়ে ওঠে। একজন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে নয়, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি চাই এই ক্যাম্পাস হোক আমাদের সম্মিলিত গর্ব।”

ছাত্রদের কণ্ঠে তখন ঝরছে আবেগ আর কৃতজ্ঞতা। শহীদ জিয়াউর রহমান হল এর শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম রাতুল ও সোহেল রানা জনি এবং এম কেরামত আলী হলের শিক্ষার্থী রিমন, তানজিম ও আকাশ বলেন,“স্যারকে আমরা সবসময় শ্রদ্ধা করি, কিন্তু আজ আমাদের চোখের সামনে যখন উনি নিজের হাতে ঝাড়ু দিয়ে পরিচ্ছন্নতার কাজ করলেন, তখন আমরা বুঝতে পারলাম—নেতৃত্ব কাকে বলে।”

তাপসী রাবেয়া বসরী হলের ছাত্রী তাসলিমা এবং কবি বেগম সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রী সুকন্যা বলেন, “আমরা তো শুধু শুনেছিলাম, ভাইস-চ্যান্সেলর স্যার একজন আদর্শিক মানুষ। কিন্তু আজ দেখলাম, উনি শুধু নির্দেশই দেন না, নিজেও সেই কাজ করেন। এই দৃশ্য আমাদের মনকে ছুঁয়ে গেছে।”

কর্মসূচিতে ভিসি এর সাথে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্টবৃন্দ, সহকারী প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, নিরাপত্তা টিমের সদস্যবৃন্দ ও কর্মচারীরা।

সবার মধ্যে কাজ করছিল এক অপরূপ ঐক্য, এক অপার সম্মিলন—যেখানে বয়স, পদ কিংবা পরিচয়ের ভেদাভেদ ভুলে সকলে মিশে গিয়েছিলেন পরিচ্ছন্নতার এক মহা-আহ্বানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ তরিকুল ইসলাম সজিব আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, “আমরা কেবল পাঠ্যপুস্তক দিয়ে শিক্ষার্থী গড়ি না, আদর্শ দিয়ে মানুষ গড়ি। আজকের এই কর্মসূচি সেই আদর্শিক শিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”

পবিপ্রবিতে শুধুমাত্র ধুলোময়লাকে নয়, বরং নিরাসক্ততা, অবহেলা আর উদাসীনতাকেও ঝেঁটিয়ে বিদায় জানানো হলো। ক্যাম্পাস জুড়ে এখন পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে এক অনন্য অনুপ্রেরণার সুবাস—যেখানে নেতৃত্ব, মানবিকতা আর দায়িত্ববোধ মিলেমিশে সৃষ্টি করেছে এক নতুন অধ্যায়।

পবিপ্রবির এই ‘ক্লিন ক্যাম্পাস’ কর্মসূচি আজ শুধু একটি দিনের কর্মসূচি নয়—এ যেন একটি আন্দোলন, এক আদর্শচর্চা। ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন—তা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি শক্তিশালী নৈতিক বার্তা। সত্যিই, নেতৃত্বের এমন নজির শিক্ষার্থীদের মনে গেঁথে থাকবে বহুদিন, হয়তো সারাজীবন।

রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ডিলার নিয়োগে অনিয়মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ডিলার নিয়োগে বৈষম্য ও অনিয়মের অভিযোগ এবং পুনরায় তদন্ত পূর্বক শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় লটারির দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করেছে বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটির অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে,অনিয়মের মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পরা ব্যাক্তিদের সুকৌশলে ডিলার নিয়োগ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দা না হয়েও অনেকেই এই নিয়োগপ্রাপ্ত হন।নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য অনেক ব্যক্তিকে সুকৌশলে বাদ দিয়ে নিয়ম বহি:ভূর্ত বাহিরের অনেক কে ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।ডিলার নিয়োগে এহেন বৈষম্যরোধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে পুনরায় তদন্ত সাপেক্ষে লটারির আহবান জানান বঞ্চিত আবেদনকারীগণ।

রোববার দুপুরে ১২ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের মেইন গেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মোত্তালেব,আজিজুল ইসলাম,ফখরুল ইসলাম, রাজু ইসলাম, আহসান, সহিদুল ইসলাম,রোকেয়া বেগম,দৌলত হোসেন,আব্দুল লতিফ,সেকেন্দার আলী লিমন,হান্নান মিয়া আব্দুল লতিফ বাবলুসহ আরও অনেকে।

শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলন

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

 জাতীয় সংসদের সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে শ্যামনগরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট)সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শ্যামনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা জামায়াত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা গাজী নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা শ্যামনগর ও আশাশুনিকে একত্রিত করে সাতক্ষীরা -৪ আসনে পরিণত করায় উভয় উপজেলার মানুষের দুর্ভোগের চক্রান্ত করা হয়েছে। এই দুই উপজেলা বহু ব-দ্বীপ ও দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল নিয়ে গঠিত। উপজেলা দুটি ভৌগোলিকভাবে বিচ্ছিন্ন ও দুর্যোগ পীড়িত উপজেলাকে এক আসনে অন্তর্ভুক্ত করা অযৌক্তিক ও জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। পূর্বের ন্যায় শ্যামনগরকে একটি একক আসন অথবা  শ্যামনগর ও কালিগঞ্জকে একত্র করে আলাদা একটি আসন গঠন করা হলে জনগণের উপকারে আসবে।

তিনি বলেন সাতক্ষীরা জেলা সদরে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যমে শ্যামনগরের বা আশাশুনির লোকজন একে অপরের উপজেলায় যেতে হয় না। বরং কালিগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়ক দিয়ে যেতে হয়। ইতিপূর্বে শ্যামনগরের পৃথক আসন ছিল এবং পরবর্তীতে শ্যামনগরের ১২ টি ইউনিয়ন কালিগঞ্জের ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসন গঠিত হয়। সাতক্ষীরা-৪ আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করে নির্বাচন কমিশনের খসড়া গেজেটটি সংশোধন করে জনগণের স্বার্থে আশাশুনির সাথে শ্যামনগর উপজেলাকে কোন অবস্থাতে সংযুক্ত না করার দাবী জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহমান, সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম মোস্তফা, সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার রেজাউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ও জামায়াতের উপজেলা যুববিভাগের সভাপতি সাইদী হাসান বুলবুল প্রমূখ।

ছবি- শ্যামনগরে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে জামায়াতের সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি গাজী নজরুল ইসলাম।

৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’: পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা বিজিএমইএর

পরিচ্ছন্নতার অভিযানে জেগে উঠলো পটুয়াখালী ভার্সিটির: ভিসির নেতৃত্বে ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

আসন্ন ৫ আগস্ট ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দেশের সব পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিজিএমইএ জানায়, সরকার ঘোষিত জাতীয় ছুটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং ওই দিনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“যদিও শ্রম আইন অনুযায়ী পোশাক কারখানাগুলো বছরের নির্ধারিত ১১ দিনের উৎসব ছুটির বাইরে সাধারণ ছুটিতে বাধ্য নয়, তবুও ৫ আগস্টের গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমরা দেশের সব কারখানাকে ওই দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

আইনগত দিক: বিজিএমইএ উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১১৮ এবং শ্রম বিধিমালা, ২০১৫-এর বিধি ১১০ অনুযায়ী এই ছুটি বাধ্যতামূলক না হলেও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এটি পালন করা উচিত।

 শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা: এই দিনটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বিজিএমইএ’র এই পদক্ষেপকে পোশাক খাতের সামাজিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

×