জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতি ক্ষমতা নয়: তারেক রহমান

তারেক রহমান : ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশের জনগণ দেড় দশক ধরে রাজপথে রক্ত দিয়েছে ক্ষমতা কয়েকজনের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নয়, বরং নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য — এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “জনগণ স্বৈরাচার হটিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই সরকার পরিচালনায় জনগণের কথা শুনতেই হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে আশুলিয়ার দারুল ইহসান মাদরাসা মাঠে “নারকীয় জুলাই” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শহীদ পরিবারকে সম্মান জানিয়ে এই আয়োজন করে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচনই একজন নাগরিকের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগের প্রধান উপায়। স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা হলে, রাষ্ট্রে জনগণের ইচ্ছাই প্রাধান্য পাবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি, সরকার বা সংস্কার শক্তিশালী করতে হলে আগে জনগণকে শক্তিশালী করতে হবে। জনগণ দুর্বল থাকলে রাষ্ট্র কখনোই টেকসই হবে না। আর জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত হলে, ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।”
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমিকদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “গত বছরের আন্দোলনে রিকশাচালক, শ্রমিক, ভ্যানচালক, দিনমজুররা রাস্তায় নেমেছিলেন— কারণ তাদের বুঝে গিয়েছিল, ফ্যাসিবাদী সরকার থাকলে ন্যায্য অধিকার ফেরত পাওয়া যাবে না।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে বসে অডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছেন।”
তিনি সরকারের বিরুদ্ধে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগও তোলেন এবং বলেন, “আজও অনেক শহীদ পরিবার রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত।”
সভায় আরও বক্তব্য দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মোর্শেদ হাসান খান, সালাউদ্দিন বাবু, আমিনুল হক প্রমুখ।
সভাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যরাও, যারা তাদের আত্মত্যাগ ও কষ্টের কথা তুলে ধরে পুরো সমাবেশকে আবেগঘন করে তোলে।