পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ধীর আগ্রাসন ও ড্রো’ন হা’ম’লায় চরম সংকট

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার ধীর কিন্তু ধারাবাহিক অগ্রগতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। ড্রোন হামলা, সীমান্তবর্তী গ্রাম দখল এবং বিশাল সামরিক শক্তি কেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে রাশিয়া গ্রীষ্মকালীন আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা ইউক্রেনীয় ফ্রন্টলাইনের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি বদলে দিতে পারে।
রুশ ড্রোন হামলার প্রভাবে কোস্টিয়ানটিনিভকা ও পোক্রোভস্ক-এর পিছনের গ্রামগুলোতে ইউক্রেনীয় নিয়ন্ত্রণ দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। এমনকি কিয়েভ নিয়ন্ত্রিত শান্ত অঞ্চলগুলোতেও ড্রোন প্রবেশ করে হামলা চালাচ্ছে, যেখানে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও জনবল সংকটে ভুগছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
পোক্রোভস্কের চারপাশে রাশিয়ার অবরোধ পরিকল্পনা পোক্রোভস্ক শহরের আশেপাশের এলাকাগুলোতে রাশিয়ার টানা হামলা চলছে। এক ইউক্রেনীয় কমান্ডার জানান, “একটি ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হচ্ছে।” মিরনোহ্রাদ শহরের ইউক্রেনীয় সেনারা এখন ঘেরাও হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকিতে।
তিনি আরও জানান, রুশ সেনারা ইতিমধ্যে রডিনস্কে গ্রামে ঢুকে পড়েছে এবং বিলেটস্ক শহরের প্রান্তে অবস্থান করছে, যা পোক্রোভস্কের মূল সরবরাহ লাইনকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
রুশ ড্রোন হামলার তীব্রতা বাড়ছে ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ড্রোন হামলার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এই ড্রোন হামলা কেবল যুদ্ধক্ষেত্র নয়, বরং কিয়েভের মতো তুলনামূলক নিরাপদ অঞ্চলকেও লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে।
শান্তি আলোচনা নিয়ে ট্রাম্পের আল্টিমেটাম এই সংকটময় পরিস্থিতিতে, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন-কে শান্তি আলোচনার সময়সীমা ৫০ দিন থেকে কমিয়ে ১২ দিনে নামিয়ে এনেছেন। ট্রাম্প পুতিনকে নিয়ে “গভীর হতাশা” প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, ক্রেমলিন দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয়।
এই ঘোষণায় কিয়েভ কিছুটা স্বস্তি পেলেও, সামরিক সহায়তা বৃদ্ধিতে পশ্চিমা দেশগুলোর উপর চাপ আরও বাড়তে পারে।
রুশ কৌশলের পেছনে শক্তি ও সহনশীলতা যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সাফল্যের পেছনে রয়েছে তাদের বৃহৎ অস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা, জনবল, এবং উচ্চ ক্ষয়ক্ষতি সহ্য করার মানসিকতা। এসব কারণে মস্কোর কৌশল বদলানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
জেলেনস্কির মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্প্রতি জানিয়েছেন, “রাশিয়ান বাহিনী অগ্রসর হচ্ছে না,” তবে তিনি স্বীকার করেছেন, “ফ্রন্টলাইনের পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।”