গাজায় ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হা’ম’লা নি’হ’ত ৭১

গাজায় আবারও ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বুধবার (৩০ জুলাই) এক দিনে অন্তত ৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন শত শত মানুষ।
উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং পয়েন্টে ত্রাণ বিতরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেন। এসময় ইসরায়েলি সেনারা ভিড় লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়, যাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৫১ জন, এবং আহত হন প্রায় ৬৫০ জনের বেশি।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসেও প্রাণঘাতী হামলা একই ধরনের বর্বরতা চালানো হয় খান ইউনিসের নিকটবর্তী মোরাগ করিডোরে, যেখানে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে আরও ২০ জন নিহত হন। ত্রাণ সহায়তার জন্য মরিয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ধারাবাহিকভাবে চালানো এসব হামলা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
GHAF চালুর পর থেকেই বেড়েছে হামলার মাত্রা গত মে মাসে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত GHAF (Gaza Humanitarian Aid Framework) নামের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় নিয়মিতই ত্রাণ সংগ্রহকারীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শুধু এই কর্মসূচি শুরুর পর থেকে প্রায় ১,০০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
অনাহারে মৃত্যুও বাড়ছে ত্রাণ সহায়তার অপ্রতুলতা এবং চলমান অবরোধের কারণে বুধবার গাজায় অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগে আরও ৭ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, অবরুদ্ধ গাজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য, পানি ও ওষুধের তীব্র সংকট চলছে এবং ইসরায়েলি হামলার কারণে ত্রাণ পৌঁছানোও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।