| ৩০ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ নয় চেতনা অমর সাংবাদিক মাসুদ কামালের বিশ্লেষণ

জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ নয় চেতনা অমর সাংবাদিক মাসুদ কামালের বিশ্লেষণ

মাসুদ কামাল : ছবি-সংগৃহীত

জুলাই অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ বলা যায় না—এটা একটি স্বতঃস্ফূর্ত জনতার আন্দোলন, যার চেতনা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টক শোতে এই মন্তব্য করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।

তিনি বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে, আমি সেটা মনে করি না। যদি এনসিপি ব্যর্থ হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরো কমিটিও ব্যর্থ হয়—তবুও জুলাই আন্দোলনের চেতনা ও উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয় না। এগুলো অমর, এগুলো ইতিহাস।”

📌 আন্দোলনের তুলনা মুক্তিযুদ্ধের সাথে
মাসুদ কামাল বলেন, “যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় কেউ কেউ দাবি করেছিল, তারাই একমাত্র মুক্তিযোদ্ধা—ঠিক একইরকম দাবি এখন জুলাই আন্দোলন নিয়েও করা হচ্ছে।
কিন্তু কিছু মানুষের আচরণ বা সীমাবদ্ধতা দিয়ে পুরো আন্দোলনকে ব্যর্থ বলা যায় না। তাদের লোভ-লালসা বা সংকীর্ণতা দিয়ে ইতিহাসের গণআন্দোলনকে বিচার করা অনুচিত।”

🎙️ আন্দোলনের দাবিদারদের সমালোচনা
তিনি বলেন, “কিছু স্টুডেন্ট নিজেদের জুলাই অভ্যুত্থানের ‘বিজয়ী বীর’ হিসেবে দাবি করেছিল। কিন্তু এটা তাদের একতরফা দাবি, আমরা সেটি মেনে নিইনি। এই আন্দোলন ছিল সারা দেশের মানুষের অভ্যুত্থান, সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ, বিজয়ের সংগ্রাম।”

তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মানুষ কখনও ক্ষমতার অংশীদার হতে চায় না। তারা ঘরে ফিরে যায়। অথচ কিছু ‘নেতা’ ক্ষমতা দখলের খেলায় মেতে উঠে আন্দোলনকে দিকভ্রষ্ট করেছে। এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছেন ড. ইউনূস। তিনিই ছাত্রদের ‘নিয়োগকর্তা’ ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ততাকে দুর্বল করেছেন।”

💬 “আন্দোলনের মূল শক্তি সাধারণ মানুষ”
মাসুদ কামাল স্পষ্টভাবে বলেন, “আজ যারা আন্দোলনের নামে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন, তারা কেউই জুলাই আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি ছিলেন না। তারা পেছনের সারির লোক।
মূল চালিকাশক্তি ছিলেন এই দেশের সাধারণ মানুষ। এই আন্দোলন আমাদের জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”

সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি ও তার ছেলেকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা

জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ নয় চেতনা অমর সাংবাদিক মাসুদ কামালের বিশ্লেষণ

পুঁজিবাজারে অনিয়ম এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থহানির অভিযোগে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, তার ছেলে ও সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, এবং আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের এক সাবেক কর্মকর্তাকে আজীবনের জন্য পুঁজিবাজারে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির ৯৬৫তম সভায়, সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

🔍 জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা:
সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা

শায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা
জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া, তৎকালীন সিইও ইমরান আহমেদকে ৫ বছরের জন্য পুঁজিবাজার কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

⚖️ আইনগত পদক্ষেপ:
ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি জানিয়েছে, বাজারে স্বচ্ছতা ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এই সিদ্ধান্ত একটি দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

লুইস দিয়াজ বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেন শেষ হলো লিভারপুল অধ্যায়

জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ নয় চেতনা অমর সাংবাদিক মাসুদ কামালের বিশ্লেষণ

লুইস দিয়াজের লিভারপুল অধ্যায়ের পর্দা নামল। সাড়ে তিন বছরের সফল পথচলার পর কলোম্বিয়ান ফরোয়ার্ড এবার বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দিলেন।

২০২২ সালের জানুয়ারিতে এফসি পোর্তো থেকে লিভারপুলে আসেন দিয়াজ। এরপর ১০১ ম্যাচে ৩০ গোল ও ১০ অ্যাসিস্ট করে ক্লাবের চারটি শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এর মধ্যে রয়েছে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা এবং একটি করে এফএ কাপ, কারাবাও কাপ ও লিগ কাপ।

শুরুর মৌসুমেই ক্লপের অধীনে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন ‘লুচো’। খেলেন ২৬ ম্যাচে, করেন ৬ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট। তবে ২০২2-23 মৌসুমে হাঁটুর ইনজুরি কিছুটা পিছিয়ে দেয় তাঁকে।

২০২৩-২৪ মৌসুমে আবার ছন্দে ফিরে আসেন এবং স্লটের অধীনে আরও এগিয়ে যান। উইঙ্গার থেকে সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে দেন ক্যারিয়ারের সেরা গোলসংখ্যা।

🔄 নতুন অধ্যায় শুরু বায়ার্ন মিউনিখে ক্লপ বিদায়ের পর স্লটের অধীনে ভিন্ন ভূমিকায় দারুণ খেললেও শেষ পর্যন্ত দিয়াজ পাড়ি জমালেন জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখে, যেখানে নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত এই কলোম্বিয়ান তারকা।

আজ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে ঐকমত্যের প্রাথমিক তালিকা: ড. আলী রীয়াজ

জুলাই অভ্যুত্থান ব্যর্থ নয় চেতনা অমর সাংবাদিক মাসুদ কামালের বিশ্লেষণ

ড. আলী রীয়াজ : ছবি-সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, যেসব বিষয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলোর তালিকা আজ বুধবারই সংশ্লিষ্ট সব দলের কাছে পাঠানো হবে।

আজ দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কমিশনের বৈঠকের বিরতিতে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,

“মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে সব দল একমত হয়েছে। ঐকমত্যের বিষয়গুলো আগামীকালকের (৩১ জুলাই) মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

আলোচনার বিষয়বস্তু:
আজকের বৈঠকে যেসব গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক বিষয়ের ওপর আলোচনা হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে:

  • সংসদে নারীর প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো

  • রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতা পুনর্বিন্যাস

  • রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি

  • উচ্চকক্ষের গঠন ও সদস্য নির্বাচন

  • সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যকরী কাঠামো

  • দুর্নীতি দমন কমিশনের স্বাধীনতা

  • মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (CAG) নিয়োগ

  • ন্যায়পাল (Ombudsman) নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান

উল্লেখ্য, এই কমিশন একটি সর্বদলীয় ও অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের লক্ষ্যেই কাজ করছে। বিভিন্ন দলের মতামতের ভিত্তিতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কারের রূপরেখা তৈরির উদ্দেশ্যেই এগোচ্ছে এই উদ্যোগ।

×