| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

চার দিনের সংঘর্ষের পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার যুদ্ধবিরতির ঘোষণাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় বাংলাদেশ সন্তোষ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রাজনৈতিক পর্যায়ে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করায় আসিয়ান চেয়ার মালয়েশিয়ার ভূমিকাও প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর মধ্যস্থতাও প্রশংসার দাবিদার, যারা এই সংঘাত নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, উভয় দেশ কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পুরনো সীমান্ত বিরোধ নিরসনে সচেষ্ট থাকবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবিকা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।

প্রসঙ্গত, শত বছরের পুরনো সীমান্ত বিরোধের জেরে গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত দুই দেশ মিলিয়ে কমপক্ষে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংঘর্ষের ফলে সীমান্তবর্তী অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে।

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর ভুয়া বিজ্ঞাপনের ফাঁদ: বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় সতর্কবার্তা

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

রাজধানীর আবাসন খাতে নতুন করে আলোচনায় এসেছে ‘ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি। নিজেদের জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প হিসেবে দাবি করে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য—কাগজপত্রে এ ধরনের কোনো যৌথ বিনিয়োগের অস্তিত্ব নেই।

 

‘ফুজিসান গ্রীন সিটি’সহ একাধিক কথিত প্রকল্পঃ

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের জিন্দা গ্রামে ‘ফুজিসান গ্রীন সিটি’ নামে একটি আবাসিক প্রকল্পের বিজ্ঞাপন চালাচ্ছে। পাশাপাশি তারা আরও দুটি প্রকল্পের প্রচারণা দিচ্ছে—
ফুজিসান টোকিও সিটি – কালিগঞ্জ
ফুজিসান ওসাকা সিটি – কেরানীগঞ্জ, ঢাকা

কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই কথিত তিনটি প্রকল্পের একটিরও কোনো সরকারি কাগজপত্র নেই।

 

নিবন্ধিত হলেও যৌথ বিনিয়োগের দাবি মিথ্যাঃ

রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (RJSC) সূত্রে জানা গেছে, ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর ইনকর্পোরেশন নম্বর C-200510/2025 এবং ইস্যু নম্বর 486188।
কোম্পানিটি ২০২৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধিত হয় মাত্র চারজন পরিচালক নিয়ে। তারা হলেন—

(১).মোঃ তরিকুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান,(২).মোঃ রেজাউল্লাহ রেজা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক,(৩).মোঃ নাজমুল হোসেন, পরিচালক এবং (৪).খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, পরিচালক

কোম্পানির অথরাইজড ক্যাপিটাল ২ কোটি টাকা, তবে পেইড-আপ ক্যাপিটাল মাত্র ২০ লক্ষ টাকা।
তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই মালিকরা তাদের  বিনিয়োগকৃত অর্থ কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেননি, যা বড় ধরনের অনিয়মের ইঙ্গিত দেয়।

কোম্পানি নিবন্ধিত থাকলেও যৌথ বিনিয়োগের কোনো সরকারি নথি নেই। অর্থাৎ জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

 

ভুয়া বিজ্ঞাপনে জাপানি নাগরিকের নাম ব্যবহারঃ

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনে কোম্পানিটি দাবি করছে, তাদের চেয়ারম্যান জাপানের নাগরিক মিস্টার তমোকাজু মাকিনু। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই জাপানি নাগরিকের সঙ্গে কোম্পানির কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কোনো সরকারি নথিপত্রেও এর প্রমাণ মেলেনি।
শুধুমাত্র গ্রাহকদের আকৃষ্ট ও প্রতারণার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে।

ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর চার পরিচালক ও ভুয়া চেয়ারম্যানের ছবি, জাপানি নাগরিকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ
ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ-এর চার পরিচালক ও কথিত জাপানি চেয়ারম্যানের ছবি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই বিদেশি নাগরিকের কোম্পানির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

অনুমোদনহীন প্রকল্প ও প্রশাসনের অবস্থানঃ

দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিকদার আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ নামে কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি।”

 

নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, খ অঞ্চল) টিএম রাহসিন কবির বলেন—

“ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ কোনো জমি অধিগ্রহণের আবেদন করেনি বা অনুমোদন নেয়নি। অনুমোদন ছাড়া কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি। অভিযোগ পেলে আমরা সাথে সাথেই আইনগত ব্যবস্থা নেব।”

 

 

কোম্পানির অবস্থান

কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মোঃ রেজাউল্লাহ রেজা-র সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য দিতে রাজি হননি।

পরবর্তীতে কোম্পানির একজন পরিচালক খালেদ মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“আমরা মাত্র কয়েক মাস হলো কার্যক্রম শুরু করেছি। এখনো গোছগাছ করছি। অনুমোদন নেওয়া হয়নি, তবে ভবিষ্যতে নেব।”

অনুমোদন ছাড়া কেন বিপণন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও আর সাড়া পাওয়া যায়নি।

 

রাজউক ও বিশেষজ্ঞদের কড়া মন্তব্যঃ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন—

“স্থানীয় সরকার ও জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের কার্যক্রম বেআইনি। আমরা শিগগিরই এ কোম্পানির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। পূর্বাচলে শত শত কোম্পানি নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সের আড়ালে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকতে হবে।”

 

বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএলডিএ) জানিয়েছে—

“ফুজিসান প্রোপার্টিজ লিঃ আমাদের কোনো সদস্য নয়।”

 

এছাড়াও ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা জানান—

“কোম্পানিটি কোনো ধরনের জমি ক্রয় বা উন্নয়নের জন্য অনুমতি নেয়নি।”

 

 

পরিবেশবিদদের উদ্বেগঃ

পরিবেশবিদ ড. আফসানা মজুমদার বলেন—

 “অনুমোদন ছাড়া জমি বিক্রির নামে প্রতারণা দেশের আবাসন খাতকে ধ্বংস করছে। প্রশাসনের উচিত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।”

 

স্থানীয় জমির মালিকদের গুরুতর অভিযোগঃ

স্থানীয় জমির মালিকরা অভিযোগ করেন—

“তারা কোনো জমি না কিনেই সন্ত্রাসী ভাড়া করে আমাদের জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে। মামলার ভয় দেখিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে।”

অভিযোগ আরও গুরুতর—

“সাবেক চেয়ারম্যানের বাড়ির পিছনে এবং তার নিজস্ব জমির উপর শুধুমাত্র সাইনবোর্ড বসিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছে। প্রকৃতপক্ষে সাবেক চেয়ারম্যান ও আমরা কখনো এই জমি বিক্রি করবো না। এটি সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকেরা করেছে, আর এর সাথে সাবেক চেয়ারম্যানের যোগসাজশ রয়েছে।”

 

দুদকের মন্তব্যঃ

দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) মীর মোঃ জয়নুল আবেদিন শিবলী আবাসন নিউজ২৪-কে বলেন—

“এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে দুদক অবশ্যই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। যদি এই ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড হয়ে থাকে, অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে।”

 

আইন বিশেষজ্ঞের সতর্কবার্তাঃ

ব্যারিস্টার কামরুল হাসান বলেন—

 “জাপান-বাংলাদেশ যৌথ বিনিয়োগ হলে তা সরকারিভাবে অনুমোদন সাপেক্ষে হতে হবে। যেহেতু তাদের কোনো অনুমোদন নেই, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া। প্রতারণার দায়ে এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র মামলা করতে পারে এবং শাস্তি হতে পারে।”

সরকারি কলেজ ও স্থাপনায় শেখ পরিবারের নাম সরিয়ে নতুন নামকরণ ঘোষণা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

দেশের চারটি সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পরিবর্তনে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ আওয়ামী লীগ ঘরানার জাতীয় নেতাদের নাম সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক ভিত্তিক নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোট চারটি সরকারি কলেজ এবং ২১টি একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

পরিবর্তিত চারটি কলেজের নাম হলো:

  • শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল → সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল

  • সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা → খুলনা সরকারি কলেজ

  • জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব → ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ

  • রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা → ইটনা সরকারি কলেজ

এছাড়া বিভিন্ন ভবনের নামেও পরিবর্তন এসেছে। যেমন:

  • ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ → বিজয় ২৪

  • শেখ জামাল একাডেমিক ভবন → জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন

  • শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ → শহীদ মামুন ছাত্রাবাস

  • তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ → নতুন বিজ্ঞান ভবন

  • বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ → বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস

  • রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস

  • দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → ছাত্রীনিবাস-৩

নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের বিভিন্ন সরকারি কলেজেও একই ধরণের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

ডিবি অফিসে ৬ সমন্বয়কের বাইরেও গু’ম ছিলেন আরো দুজন

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যু’দ্ধবিরতিতে বাংলাদেশের স্বাগত শান্তি ও স্থিতিশীলতার আহ্বান

জুলাই-আগস্টে রাজধানীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থান দাবির আন্দোলনের সময় ডিবি পুলিশের হাতে গুম হওয়া নেতা ছিল ছয়জন নয়, বরং মোট আটজন—এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,

“ডিবি অফিসে ছয়জন মূল সমন্বয়কের বাইরেও আরো দুজন সমন্বয়ক গুম হয়েছিলেন। একজন আরিফ সোহেল, আরেকজন আল মাসনুন।”

জাহিদ আহসান জানান, ২৯ জুলাই রাতে মিরপুরের নিজ বাসা থেকে মাসনুনকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বাবা না থাকায়, বাবার মতো বড় ভাই হন্য হয়ে খুঁজেছেন মাসনুনকে। কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি।

তিনি আরও বলেন,

“মাসনুন ছিলেন মিরপুর এলাকার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ২০২১-২২ সাল থেকেই তার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”

ছাত্রনেতার দাবি, অনেকেই বলছেন,

“‘অভ্যুত্থানে মাসনুন কই ছিল?’ উত্তর: মাসনুন ছিলেন ডিবি অফিসে।”

উল্লেখ্য, এই তথ্য অনুযায়ী, ডিবি পুলিশের হাতে প্রথম সারির ছয় নেতা ছাড়াও গুম অবস্থায় ছিলেন আরিফ সোহেল ও আল মাসনুন। এর আগে জানা গিয়েছিল, সাত দিন ধরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় শীর্ষ সমন্বয়ক—নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুমকে।

জাহিদ আহসানের পোস্টটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন। এই ঘটনার বিষয়ে এখনো ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

×