| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) মামলার শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করবেন।

সকালে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় মামলার ৬ জন আসামিকে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম এবং সাবেক এএসআই আমির হোসেন।

এর আগে, সোমবার প্রথম দিনের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পড়ে শোনান। তিনি বলেন, “পরিকল্পিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ছাত্রলীগ ও পুলিশ মিলে আবু সাঈদকে হত্যা করে। পরে, উল্টোভাবে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় সাঈদের সহযোদ্ধাদের।”

তিনি আরও দাবি করেন, “আসল ঘটনা আড়াল করতে বারবার পোস্টমর্টেম রিপোর্টে পরিবর্তন আনা হয়।”

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র জমা দেয় প্রসিকিউশন। ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনাল থেকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রংপুর মেট্রোপলিটনের সাবেক পুলিশ কমিশনারসহ ২৪ জনকে পলাতক ঘোষণা করা হয়।

মোট ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

সরকারি কলেজ ও স্থাপনায় শেখ পরিবারের নাম সরিয়ে নতুন নামকরণ ঘোষণা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

দেশের চারটি সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পরিবর্তনে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ আওয়ামী লীগ ঘরানার জাতীয় নেতাদের নাম সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক ভিত্তিক নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোট চারটি সরকারি কলেজ এবং ২১টি একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

পরিবর্তিত চারটি কলেজের নাম হলো:

  • শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল → সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল

  • সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা → খুলনা সরকারি কলেজ

  • জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব → ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ

  • রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা → ইটনা সরকারি কলেজ

এছাড়া বিভিন্ন ভবনের নামেও পরিবর্তন এসেছে। যেমন:

  • ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ → বিজয় ২৪

  • শেখ জামাল একাডেমিক ভবন → জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন

  • শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ → শহীদ মামুন ছাত্রাবাস

  • তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ → নতুন বিজ্ঞান ভবন

  • বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ → বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস

  • রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস

  • দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → ছাত্রীনিবাস-৩

নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের বিভিন্ন সরকারি কলেজেও একই ধরণের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

ডিবি অফিসে ৬ সমন্বয়কের বাইরেও গু’ম ছিলেন আরো দুজন

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

জুলাই-আগস্টে রাজধানীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থান দাবির আন্দোলনের সময় ডিবি পুলিশের হাতে গুম হওয়া নেতা ছিল ছয়জন নয়, বরং মোট আটজন—এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,

“ডিবি অফিসে ছয়জন মূল সমন্বয়কের বাইরেও আরো দুজন সমন্বয়ক গুম হয়েছিলেন। একজন আরিফ সোহেল, আরেকজন আল মাসনুন।”

জাহিদ আহসান জানান, ২৯ জুলাই রাতে মিরপুরের নিজ বাসা থেকে মাসনুনকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বাবা না থাকায়, বাবার মতো বড় ভাই হন্য হয়ে খুঁজেছেন মাসনুনকে। কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি।

তিনি আরও বলেন,

“মাসনুন ছিলেন মিরপুর এলাকার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ২০২১-২২ সাল থেকেই তার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”

ছাত্রনেতার দাবি, অনেকেই বলছেন,

“‘অভ্যুত্থানে মাসনুন কই ছিল?’ উত্তর: মাসনুন ছিলেন ডিবি অফিসে।”

উল্লেখ্য, এই তথ্য অনুযায়ী, ডিবি পুলিশের হাতে প্রথম সারির ছয় নেতা ছাড়াও গুম অবস্থায় ছিলেন আরিফ সোহেল ও আল মাসনুন। এর আগে জানা গিয়েছিল, সাত দিন ধরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় শীর্ষ সমন্বয়ক—নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুমকে।

জাহিদ আহসানের পোস্টটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন। এই ঘটনার বিষয়ে এখনো ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগে উদ্যোগ

আবু সাঈদ হ’ত্যা মা’ম’লা’য় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে

দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার ১০৬টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য, বাকি পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত, ফলে মোট শূন্য পদ রয়েছে ৩৪,১০৬টি। এর মধ্যে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ ২,৬৪৭টি, যার ১০% সংরক্ষণ রেখে বাকি ২,৩৮২টি পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)-কে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে এবং খুব শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।

এ ছাড়া, ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তির পর নিয়োগযোগ্যতা কার্যকর হবে।

🔎 প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রয়েছে ৬৫,৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫,৫০২টি।

×