| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বেতন স্কেল এখন দশম গ্রেডে

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বেতন স্কেল এখন দশম গ্রেডে

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমোদনের পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এখন থেকে দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। এতদিন তারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে ১১তম গ্রেড এবং প্রশিক্ষণবিহীন হলে ১২তম গ্রেডে বেতন পেতেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,

শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন সম্ভব। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা পাওয়ার পর এটি সার্বিকভাবে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এই যুগান্তকারী পদক্ষেপে দীর্ঘদিনের বেতন বৈষম্যের অবসান হলো এবং প্রধান শিক্ষকদের পেশাগত জীবনে স্থিতিশীলতা ও উৎসাহ বাড়বে বলে আশা করছে সরকার। একই সঙ্গে শিক্ষার মান উন্নয়নে তারা আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সরকারি কলেজ ও স্থাপনায় শেখ পরিবারের নাম সরিয়ে নতুন নামকরণ ঘোষণা দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বেতন স্কেল এখন দশম গ্রেডে

দেশের চারটি সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২১টি ভবন ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই পরিবর্তনে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ হাসিনা, শেখ কামালসহ আওয়ামী লীগ ঘরানার জাতীয় নেতাদের নাম সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ বা ভৌগোলিক ভিত্তিক নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৪ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোট চারটি সরকারি কলেজ এবং ২১টি একাডেমিক ভবন, ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারির চিঠির আলোকে এবং মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ অধিশাখার পরামর্শ অনুযায়ী।

পরিবর্তিত চারটি কলেজের নাম হলো:

  • শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল → সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, বরিশাল

  • সরকারি জয়বাংলা কলেজ, খুলনা → খুলনা সরকারি কলেজ

  • জিল্লুর রহমান সরকারি মহিলা কলেজ, ভৈরব → ভৈরব সরকারি মহিলা কলেজ

  • রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ, ইটনা → ইটনা সরকারি কলেজ

এছাড়া বিভিন্ন ভবনের নামেও পরিবর্তন এসেছে। যেমন:

  • ঢাকা কলেজের ‘শেখ কামাল হল’ → বিজয় ২৪

  • শেখ জামাল একাডেমিক ভবন → জুলাই ৩৬ একাডেমিক ভবন

  • শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ‘শেখ রাসেল ছাত্রাবাস’ → শহীদ মামুন ছাত্রাবাস

  • তিতুমীর কলেজের ‘ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবন’ → নতুন বিজ্ঞান ভবন

  • বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের ‘শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাস’ → বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজ ছাত্রীনিবাস

  • রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → তাপসী রাবেয়া ছাত্রীনিবাস

  • দিনাজপুর সরকারি কলেজে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাস’ → ছাত্রীনিবাস-৩

নরসিংদী, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, পাবনা ও সন্দ্বীপের বিভিন্ন সরকারি কলেজেও একই ধরণের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এসব নাম পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখা।

ডিবি অফিসে ৬ সমন্বয়কের বাইরেও গু’ম ছিলেন আরো দুজন

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বেতন স্কেল এখন দশম গ্রেডে

জুলাই-আগস্টে রাজধানীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও অভ্যুত্থান দাবির আন্দোলনের সময় ডিবি পুলিশের হাতে গুম হওয়া নেতা ছিল ছয়জন নয়, বরং মোট আটজন—এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সদস্যসচিব জাহিদ আহসান।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাতে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন,

“ডিবি অফিসে ছয়জন মূল সমন্বয়কের বাইরেও আরো দুজন সমন্বয়ক গুম হয়েছিলেন। একজন আরিফ সোহেল, আরেকজন আল মাসনুন।”

জাহিদ আহসান জানান, ২৯ জুলাই রাতে মিরপুরের নিজ বাসা থেকে মাসনুনকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বাবা না থাকায়, বাবার মতো বড় ভাই হন্য হয়ে খুঁজেছেন মাসনুনকে। কিন্তু কোথাও কোনো খোঁজ মেলেনি।

তিনি আরও বলেন,

“মাসনুন ছিলেন মিরপুর এলাকার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। ২০২১-২২ সাল থেকেই তার সঙ্গে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।”

ছাত্রনেতার দাবি, অনেকেই বলছেন,

“‘অভ্যুত্থানে মাসনুন কই ছিল?’ উত্তর: মাসনুন ছিলেন ডিবি অফিসে।”

উল্লেখ্য, এই তথ্য অনুযায়ী, ডিবি পুলিশের হাতে প্রথম সারির ছয় নেতা ছাড়াও গুম অবস্থায় ছিলেন আরিফ সোহেল ও আল মাসনুন। এর আগে জানা গিয়েছিল, সাত দিন ধরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় শীর্ষ সমন্বয়ক—নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুমকে।

জাহিদ আহসানের পোস্টটি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নিজ ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন। এই ঘটনার বিষয়ে এখনো ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগে উদ্যোগ

প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের জন্য সুখবর: বেতন স্কেল এখন দশম গ্রেডে

দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৪ হাজার ১০৬টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদ পূরণে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৪৭টি পদ সরাসরি নিয়োগযোগ্য, বাকি পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

“দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রধান শিক্ষকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পদগুলো দীর্ঘদিন শূন্য থাকায় শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।”

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৩১ হাজার ৩৯৬ জন প্রধান শিক্ষক কর্মরত, ফলে মোট শূন্য পদ রয়েছে ৩৪,১০৬টি। এর মধ্যে সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদ ২,৬৪৭টি, যার ১০% সংরক্ষণ রেখে বাকি ২,৩৮২টি পদে দ্রুত নিয়োগ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)-কে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে এবং খুব শিগগিরই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।

এ ছাড়া, ৩১ হাজার ৪৫৯টি পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে, যেগুলোর মধ্যে রয়েছে জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের গ্রেডেশন সংক্রান্ত ৭৩/২০২৩ নম্বর সিভিল আপিল মামলা নিষ্পত্তির পর নিয়োগযোগ্যতা কার্যকর হবে।

🔎 প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন রয়েছে ৬৫,৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যেখানে অনুমোদিত প্রধান শিক্ষকের পদ ৬৫,৫০২টি।

×