| ২৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

প্রতিদিন একটি ফল: সুস্থতা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রোগপ্রতিরোধে চমকপ্রদ উপকারিতা

প্রতিদিন একটি ফল: সুস্থতা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রোগপ্রতিরোধে চমকপ্রদ উপকারিতা

স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি ফল রাখা অত্যন্ত জরুরি। মৌসুমি ও সহজলভ্য ফল যেমন আপেল, কলা, পেয়ারা, বেদানা, জাম, শসা বা লেবু জাতীয় ফল প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর পায় নানা উপকার। আপনি চাইলে ফল দিয়ে তৈরি ফ্রুট সালাদ, ফ্রুট কাস্টার্ড কিংবা হালকা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবেও তা গ্রহণ করতে পারেন।

চলুন জেনে নিই, প্রতিদিন অন্তত একটি ফল খাওয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা—

১. হজমশক্তি বাড়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ফলে থাকা ডায়েটারি ফাইবার হজম সহজ করে, অন্ত্র পরিষ্কার রাখে এবং গ্যাস, বদহজম ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়।

২. শরীর হাইড্রেটেড রাখে
কমলা, তরমুজ, শসার মতো রসালো ফল শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখে ও গরমের দিনে পানিশূন্যতা রোধ করে।

 ৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টিগুণ ব্লাড সুগার, রক্তচাপ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৪. শরীর ডিটক্স করে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর ফল শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে।

 ৫. ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী ফলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়, চুল করে আরও স্বাস্থ্যবান।

 সতর্কতা: ডায়াবেটিস থাকলে ফল বেছে নিন সতর্কভাবে। চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।

পেটের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

# আপেলের বাড়তি গুণ প্রতিদিন একটি আপেল খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে, খারাপ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওজন কমাতেও সহায়তা করে। এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে ও ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।

জনস্বার্থে পুলিশের চার ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে

প্রতিদিন একটি ফল: সুস্থতা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রোগপ্রতিরোধে চমকপ্রদ উপকারিতা

সরকার জনস্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের চারজন উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন:

  • আতিকা ইসলাম, সংযুক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ

  • মো. মাহবুব আলম, সংযুক্ত ডিআইজি, রেলওয়ে পুলিশ, ঢাকা

  • মো. মনির হোসেন, সংযুক্ত ডিআইজি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ

  • এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, সংযুক্ত ডিআইজি, পুলিশ টেলিকম, ঢাকা

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।” তবে তারা বিধি অনুযায়ী সকল অবসর সুবিধা পাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে থাকাটা ছিল ট্র্যাজিক উমামা ফাতেমা

প্রতিদিন একটি ফল: সুস্থতা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রোগপ্রতিরোধে চমকপ্রদ উপকারিতা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে নিজের জীবনের একটি ‘ট্র্যাজিক’ অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

রোববার (২৭ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক দীর্ঘ লাইভে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের ওই লাইভে উমামা আন্দোলনে যুক্ত হওয়া, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, নেতৃত্ব সংকট ও প্ল্যাটফর্ম ত্যাগসহ নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি, এই আন্দোলনের মাধ্যমে কেউ আর্থিক লাভ করার চেষ্টা করবে। অথচ বাস্তবে নিয়মিত চাঁদাবাজি, দখল এবং পরিচয় ভাঙিয়ে তদবির বাণিজ্যের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে করে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার আস্থা নষ্ট হয়েছে।”

উমামার অভিযোগ, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর থেকেই “সমন্বয়ক” পরিচয়ে নানা রকমের অপব্যবহার শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি মনে করেন, “এটি যেন ‘রক্ষীবাহিনীর’ মতো আচরণ করছে”।

উমামা ফাতেমা আরও বলেন, “এই প্ল্যাটফর্মে থাকার জন্য একজন মানুষের ন্যূনতম আত্মসম্মান থাকা কঠিন। যারা আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে ছিল, তাদেরই অনেকে এখন সস্তা কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আমাকে হতাশ করেছে।”

মুখপাত্র থাকাকালে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্বচ্ছতা এবং পক্ষপাতিত্বের বিষয়ও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ‘আমি প্ল্যাটফর্মকে কখনোই নিজের জন্য টাকার উৎস মনে করিনি। আমার পরিবার, শিক্ষা এবং আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো ছিল, তাই এসব ব্যবহার করে লাভবান হওয়ার কোনো প্রয়োজন অনুভব করিনি।’

লাইভের শেষে উমামা ফাতেমা বলেন, “এই এক বছরে আমি শুধু সময়ই হারিয়েছি। একা কাজ করলে হয়তো দেশের জন্য আরও কিছু ভালো করতে পারতাম।”

রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

প্রতিদিন একটি ফল: সুস্থতা ওজন নিয়ন্ত্রণ ও রোগপ্রতিরোধে চমকপ্রদ উপকারিতা

সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদন পেশের সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত সংক্রান্ত জাজেস কমিটি’র চেয়ারম্যান এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। আরও ছিলেন কমিটির সদস্যবৃন্দ—হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম, বিচারপতি কাজী জিনাত হক, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান এবং বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ।

প্রতিবছর রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক এই প্রতিবেদন পেশ করা হয়ে থাকে, যা বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রতিবেদনে বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম, মামলা নিষ্পত্তির অগ্রগতি, বিচারিক প্রক্রিয়ার উন্নয়ন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতকালে, কমিটির সদস্যরা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগে গৃহীত বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের অগ্রগতিও এতে স্থান পেয়েছে।

×