| ২৮ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর যুবলীগের তিন নেতা যোগ দিলেন এনসিপিতে বহিষ্কার জেলা কমিটির

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর যুবলীগের তিন নেতা যোগ দিলেন এনসিপিতে বহিষ্কার জেলা কমিটির

আন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার পর নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কিশোরগঞ্জ জেলার যুবলীগের তিন নেতা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ দিয়েছেন। এর পরপরই যুবলীগের পক্ষ থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

এনসিপিতে যোগদানকারী নেতারা হলেন—

তবে জানা গেছে, শ্যামল ও বাছেত এরই মধ্যে যুবলীগ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।

গতকাল রবিবার রাতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল ও মো. রুহুল আমিন খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ’ বহিষ্কারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নোটিশটি যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন খান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে পোস্ট করেন রাত ১১টার দিকে। এর পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা পোস্টটি শেয়ার করতে থাকেন।

এর আগে শনিবার রাতে এনসিপির দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে কিশোরগঞ্জ শহরের পুরান থানা এলাকার তিন রাস্তার মোড়ে আয়োজিত পথসভায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে বক্তৃতা করতে দেখা যায় গোলাম কবির শ্যামলকে।

উল্লেখযোগ্য যে, শ্যামলের বাবা ওমর ফারুক ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

জনস্বার্থে পুলিশের চার ডিআইজি বাধ্যতামূলক অবসরে

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর যুবলীগের তিন নেতা যোগ দিলেন এনসিপিতে বহিষ্কার জেলা কমিটির

সরকার জনস্বার্থে বাংলাদেশ পুলিশের চারজন উপ-মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। সোমবার (২৯ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন:

  • আতিকা ইসলাম, সংযুক্ত ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ

  • মো. মাহবুব আলম, সংযুক্ত ডিআইজি, রেলওয়ে পুলিশ, ঢাকা

  • মো. মনির হোসেন, সংযুক্ত ডিআইজি, শিল্পাঞ্চল পুলিশ

  • এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, সংযুক্ত ডিআইজি, পুলিশ টেলিকম, ঢাকা

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “জনস্বার্থে সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।” তবে তারা বিধি অনুযায়ী সকল অবসর সুবিধা পাবেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে থাকাটা ছিল ট্র্যাজিক উমামা ফাতেমা

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর যুবলীগের তিন নেতা যোগ দিলেন এনসিপিতে বহিষ্কার জেলা কমিটির

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়াকে নিজের জীবনের একটি ‘ট্র্যাজিক’ অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সাবেক মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।

রোববার (২৭ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে এক দীর্ঘ লাইভে তিনি এ মন্তব্য করেন। প্রায় ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের ওই লাইভে উমামা আন্দোলনে যুক্ত হওয়া, অভ্যন্তরীণ অনিয়ম, নেতৃত্ব সংকট ও প্ল্যাটফর্ম ত্যাগসহ নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আমি কখনো ভাবিনি, এই আন্দোলনের মাধ্যমে কেউ আর্থিক লাভ করার চেষ্টা করবে। অথচ বাস্তবে নিয়মিত চাঁদাবাজি, দখল এবং পরিচয় ভাঙিয়ে তদবির বাণিজ্যের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে করে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার আস্থা নষ্ট হয়েছে।”

উমামার অভিযোগ, জুলাই মাসের অভ্যুত্থানের পর থেকেই “সমন্বয়ক” পরিচয়ে নানা রকমের অপব্যবহার শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি মনে করেন, “এটি যেন ‘রক্ষীবাহিনীর’ মতো আচরণ করছে”।

উমামা ফাতেমা আরও বলেন, “এই প্ল্যাটফর্মে থাকার জন্য একজন মানুষের ন্যূনতম আত্মসম্মান থাকা কঠিন। যারা আন্দোলনের সম্মুখ সারিতে ছিল, তাদেরই অনেকে এখন সস্তা কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি আমাকে হতাশ করেছে।”

মুখপাত্র থাকাকালে প্ল্যাটফর্মের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্বচ্ছতা এবং পক্ষপাতিত্বের বিষয়ও তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি জানান, ‘আমি প্ল্যাটফর্মকে কখনোই নিজের জন্য টাকার উৎস মনে করিনি। আমার পরিবার, শিক্ষা এবং আর্থিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো ছিল, তাই এসব ব্যবহার করে লাভবান হওয়ার কোনো প্রয়োজন অনুভব করিনি।’

লাইভের শেষে উমামা ফাতেমা বলেন, “এই এক বছরে আমি শুধু সময়ই হারিয়েছি। একা কাজ করলে হয়তো দেশের জন্য আরও কিছু ভালো করতে পারতাম।”

রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পর যুবলীগের তিন নেতা যোগ দিলেন এনসিপিতে বহিষ্কার জেলা কমিটির

সুপ্রিম কোর্টের ২০২৪ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এই প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন। সুপ্রিম কোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদন পেশের সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘বার্ষিক প্রতিবেদন প্রস্তুত সংক্রান্ত জাজেস কমিটি’র চেয়ারম্যান এবং আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। আরও ছিলেন কমিটির সদস্যবৃন্দ—হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম, বিচারপতি কাজী জিনাত হক, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান এবং বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ।

প্রতিবছর রাষ্ট্রপতির কাছে বার্ষিক এই প্রতিবেদন পেশ করা হয়ে থাকে, যা বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম তুলে ধরার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রতিবেদনে বিচার বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম, মামলা নিষ্পত্তির অগ্রগতি, বিচারিক প্রক্রিয়ার উন্নয়ন এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কার্যক্রমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকে।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতকালে, কমিটির সদস্যরা প্রতিবেদন সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগে গৃহীত বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপের অগ্রগতিও এতে স্থান পেয়েছে।

×