| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে আমরা সচেতনভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপট ও জনগণের প্রয়োজন বুঝে রাষ্ট্র কাঠামোয় যেসব পরিবর্তন দরকার, তা উপলব্ধি করে বিএনপি ইতোমধ্যেই সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, “২০১৬ সালে আমরা ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেছিলাম যেখানে রাষ্ট্র সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল। পরে ২০২২ সালে তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছিলেন, যা আজ বিভিন্ন সংলাপে আলোচনায় আসছে।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষ চায় উন্নয়ন, চায় গণতন্ত্র। জনগণের চাহিদা মেটাতে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দরকার এবং সেই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।”

ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গঠিত জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো দানবীয় সরকারকেও পরাজিত করতে পারি। গত জুলাই-আগস্টে তা প্রমাণ হয়েছে।”

অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পথচলা কেমন হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”

অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে দেশের একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামীতে এমন একটি গঙ্গা চুক্তি চাই, যা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে।”

পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, “গঙ্গা ব্যারেজ না হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হবে। অনেক মানুষ ওই অঞ্চল থেকে স্থানত্যাগ করছে, কারণ পরিবেশ বাসযোগ্য নেই।”

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে।

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিমে থাকার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন যাত্রা শুরু করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর রাতুলের ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এ কে রাতুল কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি রক সংগীতজগতের একজন দক্ষ প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ডের অ্যালবাম তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

সেন্টমার্টিনের চারপাশে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়ে গেছে। ঢেউয়ের তীব্রতায় দ্বীপের গাছপালা, বসতবাড়ি ও চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টানা চারদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্যোগ প্রতিবছরই হয়। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে। দ্বীপ রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সেন্টমার্টিনের জেলে একরাম হোসেন বলেন, “সাগরে এখন আর মাছ ধরতে যাওয়া যায় না। স্রোত এতই প্রবল যে, বাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে যাচ্ছে। সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, সেন্টমার্টিন টিকবে না।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম জানান, “পানি আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপটি একদিন সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।”

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি অবনতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হবে দ্বীপবাসীর জন্য।

দ্বীপ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক সোহেল রানা (আসল নাম মাসুদ পারভেজ) চিকিৎসাসেবা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আজ (২৭ জুলাই) ফেসবুকে একাধিক পোস্টে তিনি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন:
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ। ধিক তোমাকে, ধিক তোমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট এবং মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ডকে।”

অন্য এক পোস্টে হাসপাতালের দুরবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন:
“দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কষ্ট করে টাকা জমা দেওয়ার জন্য। বসার জায়গা নেই। ২৫ জনের বসার জায়গায় ১০০ জন রোগী দাঁড়িয়ে আছে। সিনিয়র সিটিজেন বা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো মূল্য নেই। কেবিন ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কোনো কাজে আসে না—এটাই বাস্তবতা। কোনও অভিযোগ নেই, শুধু একটু দীর্ঘ নিঃশ্বাস।”

সোহেল রানার ছেলে নির্মাতা মাশরুর পারভেজ জানিয়েছেন, তার বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই ফুসফুসজনিত জটিলতায় ভুগছেন এবং গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন প্রযোজক হিসেবে। ১৯৭২ সালে নির্মাণ করেন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।

নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের সময় তিনি ‘সোহেল রানা’ নামে পরিচিতি পান। একই সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে, যা কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।

তিনি প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ‘লালু ভুলু’ (১৯৮৩), ‘অজান্তে’ (১৯৯৬), ‘সাহসী মানুষ চাই’ (২০০৩) – এই তিন ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে পান আজীবন সম্মাননা।

১৯৯০ সালে সোহেল রানা বিয়ে করেন ডা. জিনাত পারভেজকে। তাদের একমাত্র ছেলে মাশরুর পারভেজ জীবরান। অভিনেতা রুবেল (মাসুম পারভেজ) তার ছোট ভাই।

সোহেল রানার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, অবদান এবং বয়সজনিত দুর্দশার মধ্যেও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একরাশ যন্ত্রণার প্রতিফলন উঠে এসেছে।

×