রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে সচেতনভাবে এগোচ্ছে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারে আমরা সচেতনভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপট ও জনগণের প্রয়োজন বুঝে রাষ্ট্র কাঠামোয় যেসব পরিবর্তন দরকার, তা উপলব্ধি করে বিএনপি ইতোমধ্যেই সংস্কার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুরে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘পদ্মা ব্যারেজ ও দ্বিতীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটি’র আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, “২০১৬ সালে আমরা ‘ভিশন ২০৩০’ উপস্থাপন করেছিলাম যেখানে রাষ্ট্র সংস্কারের পরিকল্পনা ছিল। পরে ২০২২ সালে তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছিলেন, যা আজ বিভিন্ন সংলাপে আলোচনায় আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “মানুষ চায় উন্নয়ন, চায় গণতন্ত্র। জনগণের চাহিদা মেটাতে একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দরকার এবং সেই ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।”
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে গঠিত জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে যে কোনো দানবীয় সরকারকেও পরাজিত করতে পারি। গত জুলাই-আগস্টে তা প্রমাণ হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে রয়েছে। ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পথচলা কেমন হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।”
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে দেশের একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামীতে এমন একটি গঙ্গা চুক্তি চাই, যা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে।”
পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, “গঙ্গা ব্যারেজ না হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভবিষ্যৎ সংকটাপন্ন হবে। অনেক মানুষ ওই অঞ্চল থেকে স্থানত্যাগ করছে, কারণ পরিবেশ বাসযোগ্য নেই।”
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমানসহ আরও অনেকে।