| ২৭ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী শ্রীপুর ইউনিয়নে ভয়াবহ নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই শ্রীপুর এলাকার অর্ধশতাধিক বসতভিটা, ফসলি জমি, ফলের বাগান ও গ্রামীণ সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকির মুখে রয়েছে কবরস্থানসহ আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রাম। ভাঙনের স্থান থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, কয়েক বছর আগেও তিস্তা নদী ছিল প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে। ওই সময় কৃষকরা এ এলাকায় ধান, গম, আলু, ভুট্টা, পাট ও কচুর চাষ করতেন। এখন এসব জমি একের পর এক ভেঙে নদীতে মিলিয়ে যাচ্ছে।

প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বাবুর বাজার থেকে পুটিমারি পর্যন্ত ভাঙন বিস্তৃত। গত দুই সপ্তাহেই নদীতে বিলীন হয়েছে অন্তত ৩০০ বিঘা ফসলি জমি। ধসে যাওয়া জমির মধ্যে পাট, কচু এবং আমন ধানের বীজতলা ছিল। ঝুঁকির মুখে রয়েছে দত্তরখামারপাড়া, দক্ষিণ শ্রীপুর, বাবুর বাজার ও পুটিমারি গ্রামের মানুষ। এরই মধ্যে দুটি গ্রামীণ সড়ক ভেঙে গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তিস্তার পানিতে প্রচণ্ড ঢেউ উঠছে। নদী তীরবর্তী মানুষ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে, গাছপালা কেটে সরিয়ে নিচ্ছে, আবার কেউ কেউ তাড়াহুড়ো করে ফসল তুলছে জমি থেকে।

বাবুর বাজার গ্রামের আব্দুল জলিল জানান, “আমার ৩৬ শতক জমির মধ্যে ২২ শতাংশ ভেঙে গেছে। বাড়িঘরও সরাতে হয়েছে।”
একই গ্রামের ইয়াসউদ্দিন বলেন, “সাত শতাংশ জমিতে কচুর চাষ করেছিলাম, সবই তিস্তা গিলে ফেলেছে। পরিবার নিয়ে এখন আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।”

দত্তরখামার পাড়ার লেবু মণ্ডল জানান, তাঁর ৫ বিঘা জমি ইতোমধ্যেই নদীতে চলে গেছে, আরও চার বিঘা ভাঙনের মুখে।
দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মমিনুর ইসলাম বলেন, “এক সময় নদী দেখতে যেতাম, আজ নদীই আমার জমি গিলে খাচ্ছে। পাট পরিপক্ব হওয়ার আগেই জমি নদীতে পড়ে গেল।”

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, “শ্রীপুর থেকে বাবুর বাজার পর্যন্ত ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হচ্ছে।”

ভাঙনের তীব্রতা দেখে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আরও অনেক পরিবার নিঃস্ব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

নায়ক জসীমের ছেলে সংগীতশিল্পী রাতুল মারা গেছেন

প্রয়াত চিত্রনায়ক জসীমের ছেলে ‘ওন্ড’ ব্যান্ডের ভোকালিস্ট এবং বেজিস্ট এ কে রাতুল মারা গেছেন। আজ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জিমে থাকার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

ব্যান্ডের গীতিকার সিয়াম ইবনে আলম খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উত্তরার একটি জিমে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন রাতুল। পরে তাকে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে লুবানা হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেক আগে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

রাতুল ও তার ব্যান্ড ‘ওন্ড’ বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে এক ভিন্ন যাত্রা শুরু করে। ২০১৪ সালে তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘ওয়ান’ এবং ২০১৭ সালে দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘টু’ মুক্তির পর রাতুলের ব্যান্ডটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

এ কে রাতুল কেবল একজন গায়কই ছিলেন না, তিনি রক সংগীতজগতের একজন দক্ষ প্রযোজক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। অনেক জনপ্রিয় ব্যান্ডের অ্যালবাম তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

উত্তাল সাগরে হুমকির মুখে সেন্টমার্টিন, জোয়ারে বাড়িঘর ও জমির ক্ষতি

সেন্টমার্টিনের চারপাশে সাগরের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২-৩ ফুট বেড়ে গেছে। ঢেউয়ের তীব্রতায় দ্বীপের গাছপালা, বসতবাড়ি ও চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। টানা চারদিন টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে এমন দুর্যোগ প্রতিবছরই হয়। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়ছে। দ্বীপ রক্ষায় দ্রুত বেড়িবাঁধ ও জিও ব্যাগ বসানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।

সেন্টমার্টিনের জেলে একরাম হোসেন বলেন, “সাগরে এখন আর মাছ ধরতে যাওয়া যায় না। স্রোত এতই প্রবল যে, বাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকে যাচ্ছে। সরকার যদি এখনই পদক্ষেপ না নেয়, সেন্টমার্টিন টিকবে না।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ আলম জানান, “পানি আগের চাইতে অনেক বেড়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দ্বীপটি একদিন সাগরে বিলীন হয়ে যাবে।”

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি অবনতির বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আগামীকাল নৌবাহিনীর একটি জাহাজে খাদ্যপণ্য পাঠানো হবে দ্বীপবাসীর জন্য।

দ্বীপ রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি

চিকিৎসাসেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা সোহেল রানা

বরেণ্য অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক সোহেল রানা (আসল নাম মাসুদ পারভেজ) চিকিৎসাসেবা ও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রাপ্য সম্মান নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আজ (২৭ জুলাই) ফেসবুকে একাধিক পোস্টে তিনি নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন:
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম ছবি ‘ওরা ১১ জন’, প্রযোজক মাসুদ পারভেজ। ধিক তোমাকে, ধিক তোমার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট এবং মুক্তিযোদ্ধা আইডেন্টিটি কার্ডকে।”

অন্য এক পোস্টে হাসপাতালের দুরবস্থার বর্ণনা দিয়ে তিনি লেখেন:
“দুজনের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি কষ্ট করে টাকা জমা দেওয়ার জন্য। বসার জায়গা নেই। ২৫ জনের বসার জায়গায় ১০০ জন রোগী দাঁড়িয়ে আছে। সিনিয়র সিটিজেন বা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্রের কোনো মূল্য নেই। কেবিন ভাড়া দ্বিগুণ হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কোনো কাজে আসে না—এটাই বাস্তবতা। কোনও অভিযোগ নেই, শুধু একটু দীর্ঘ নিঃশ্বাস।”

সোহেল রানার ছেলে নির্মাতা মাশরুর পারভেজ জানিয়েছেন, তার বাবা বেশ কিছুদিন ধরেই ফুসফুসজনিত জটিলতায় ভুগছেন এবং গত সপ্তাহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

এক সময়ের জনপ্রিয় ছাত্রনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন প্রযোজক হিসেবে। ১৯৭২ সালে নির্মাণ করেন বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’।

নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশের সময় তিনি ‘সোহেল রানা’ নামে পরিচিতি পান। একই সঙ্গে পরিচালক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার মাধ্যমে, যা কাজী আনোয়ার হোসেনের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল।

তিনি প্রায় ৩০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ‘লালু ভুলু’ (১৯৮৩), ‘অজান্তে’ (১৯৯৬), ‘সাহসী মানুষ চাই’ (২০০৩) – এই তিন ছবির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১৯ সালে পান আজীবন সম্মাননা।

১৯৯০ সালে সোহেল রানা বিয়ে করেন ডা. জিনাত পারভেজকে। তাদের একমাত্র ছেলে মাশরুর পারভেজ জীবরান। অভিনেতা রুবেল (মাসুম পারভেজ) তার ছোট ভাই।

সোহেল রানার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে তার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা, অবদান এবং বয়সজনিত দুর্দশার মধ্যেও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে একরাশ যন্ত্রণার প্রতিফলন উঠে এসেছে।

×