| ২৩ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম:

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ডা. আতরাকের শিশু নিরাপত্তা মিশন: বাধ্যতামূলক শিশুর আসন ও সিপিআর প্রশিক্ষণ

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ডা. আতরাকের শিশু নিরাপত্তা মিশন: বাধ্যতামূলক শিশুর আসন ও সিপিআর প্রশিক্ষণ

প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তাইসির আতরাক ২০১১ সালে ‘আবুধাবি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছিলেন শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০০৮ সালে আবুধাবিতে আসার পর থেকে তিনি নবজাতক থেকে শুরু করে শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সম্প্রতি আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে খালিজ টাইমস-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতে শিশুর নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে তিনি এমন নীতিমালার জন্য কাজ করছেন, যাতে নবজাতককে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্রের আগে গাড়িতে শিশু আসন (কার সিট) বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপন করতে হয়।

ডা. আতরাক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নবজাতককে সঠিকভাবে শিশু আসনে না বসালে হাসপাতাল ছাড়তে দেয় না। আমি চাই, আমাদের দেশেও এ ব্যবস্থা চালু হোক। শিশুর প্রথম যাত্রা হোক সবচেয়ে নিরাপদ।’

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ড জেতার পর তার কাজের পরিধি আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত হয়ে শিশু সুরক্ষা নিয়ে তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হলো নবজাতকের ছাড়পত্রের আগে বাবা-মাকে বাধ্যতামূলক সিপিআর প্রশিক্ষণ দেওয়ার নিয়ম প্রবর্তন। শুরুতে কেউ আগ্রহী হবে না বলে ধারণা করা হলেও, এক বছর পর দেখা যায়, অভিভাবকরাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং বাস্তবে তা অনেক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সহায়ক হয়েছে।

চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ডা. আতরাক গৃহকর্মী, অভিভাবক ও বাসচালকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা ও সচেতনতামূলক কর্মশালাও পরিচালনা করেন।

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আরেক অনুপ্রেরণার নাম জাফারানা আহমেদ খামিস। ১১ সন্তানের মা জাফারানা ‘পিপল অব ডিটারমিনেশন’-এর জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন। তার দুই মেয়ে স্পেশাল অলিম্পিকসে স্বর্ণপদক জিতেছেন।

২০০৭ সাল থেকে আবুধাবি স্পোর্টস ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোরীদের অনুশীলনে আনা-নেওয়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন। ২০২১ সালে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনিও ‘আবুধাবি অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।

এ বছর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের পৃষ্ঠপোষকতায় ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে নতুন আসর।

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃ’ত্যুহা সপাতালে ভর্তি আরও ৩১৯

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ডা. আতরাকের শিশু নিরাপত্তা মিশন: বাধ্যতামূলক শিশুর আসন ও সিপিআর প্রশিক্ষণ

দেশজুড়ে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দুই শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নতুন করে ৩১৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।

বুধবার (২৩ জুলাই) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মারা যাওয়া শিশুদের একজন ছেলে (৩) ও একজন মেয়ে (৯)। এছাড়া মৃতদের মধ্যে একজন পুরুষ (৫২) ও একজন নারী (৪০) রয়েছেন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯০ জন, বরিশালে ৮৯, ঢাকার বাইরে বিভাগে ৫৯, চট্টগ্রামে ৩৮, রাজশাহীতে ৩০, ময়মনসিংহে ৯ এবং রংপুরে ৪ জন।

চলতি বছর এ পর্যন্ত দেশে ১৮ হাজার ৩৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মারা গেছেন ৬৯ জন, এর মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ও ৩২ জন নারী।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে স্বজনপ্রীতির বড় উদাহরণ বললেন হাসনাত

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ডা. আতরাকের শিশু নিরাপত্তা মিশন: বাধ্যতামূলক শিশুর আসন ও সিপিআর প্রশিক্ষণ

হাসনাত আবদুল্লাহ : ছবি-সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনা ও হতাহতদের স্বাস্থ্যসেবা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমকে তীব্র সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

বুধবার (২৩ জুলাই) চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এনসিপির এক পথসভায় হাসনাত বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ। উনি ‘ভাই-ব্রাদার কোটায়’ আসছেন।’’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘‘এই স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কোনো কার্যক্রম জনগণ দেখেনি। সরকারি বেতন আর গাড়ি ভোগ করলেও দেশের স্বাস্থ্য খাতে তার কোনো অবদান নেই।’’ হাসনাত দাবি করেন, ‘‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিজে চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুরে যান, অথচ দেশের মানুষের জন্য কোনো মানসম্মত ব্যবস্থা করেন না।’’

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে হাসনাত বলেন, ‘‘আমরা কথা বললে বিড়াল বেজার হয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখেন না।’’

বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের তিন ধাপ অগ্রগতি

আবুধাবি অ্যাওয়ার্ডজয়ী ডা. আতরাকের শিশু নিরাপত্তা মিশন: বাধ্যতামূলক শিশুর আসন ও সিপিআর প্রশিক্ষণ

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সের সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছরের ৯৭তম অবস্থান থেকে উন্নতি পেয়ে এবার ৯৪তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট।

২০২৪ সালে বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশ্বের ৩৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছরে এই উন্নতি বাংলাদেশের ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধার ইতিবাচক অগ্রগতি নির্দেশ করে।

তালিকার শীর্ষে এবারও রয়েছে এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র সিঙ্গাপুর, যাদের পাসপোর্টধারীরা ১৯৩টি দেশে ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
তৃতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপের সাত দেশ— ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি ও স্পেন।
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইডেন আছে চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছে নিউজিল্যান্ড, গ্রিস ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া, যুক্তরাজ্য আছে ষষ্ঠ আর যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান করছে ১০ম স্থানে।

×