মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি দগ্ধ শিশুদের নিয়ে শারমিন আঁখির পরামর্শে কাঁপছে শোবিজ

মুহূর্তটি ছিল স্কুল ছুটির, কিন্তু সেই ছুটিই যেন চিরতরে জীবন থেকে ছুটি নিয়ে নিলো একঝাঁক কোমলমতি শিশু। সোমবার দুপুরে রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় বহু প্রাণহানি ও দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে, যা পুরো দেশকে শোক আর স্তব্ধতার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
এই ট্র্যাজেডিতে দেশের সাধারণ মানুষের মতো শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও শোকাহত। কেউ শোকবার্তা দিচ্ছেন, কেউ আবার দগ্ধদের জন্য সহায়তা ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ শেয়ার করছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী শারমিন আঁখি, যিনি নিজেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুটিং স্পটে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সেবার তাঁর শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি, তবে এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন আগুনের ক্ষত আর মানসিক যন্ত্রণা।
মাইলস্টোন ট্র্যাজেডিতে অগ্নিদগ্ধ শিশুদের কথা ভেবে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন আঁখি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগামী এক সপ্তাহ দগ্ধ শিশুদের কাছে যত কম ভিজিটর যাবে, ততই ভালো। পোড়ার পর সবচেয়ে বড় শত্রু ইনফেকশন। মানুষের চামড়া জার্ম প্রতিরোধ করে, কিন্তু পোড়া স্থানে সেই প্রটেকশন থাকে না। বেশিরভাগ দগ্ধ রোগী পোড়ায় নয়, ইনফেকশনে মারা যায়।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘চামড়া পোড়ার ব্যথার সঙ্গে কোনো ব্যথার তুলনা চলে না। নতুন চামড়া তৈরি হলে সেই জায়গার ড্রেসিং হয়, যা অসহনীয় যন্ত্রণা দেয়। তাই শিশুদের দেখতে গিয়ে অযথা ভিড় না করে চিকিৎসকদের নির্দেশনা মেনে চলাই ভালো।’
শারমিন আঁখি বলেন, ‘দগ্ধ শিশুরা এখন শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে আছে, কিছুদিন পর শুরু হবে মানসিক ট্রমা। এজন্য হাসপাতাল থেকে ফিরে প্রতিটি শিশুর মনঃসামাজিক চিকিৎসা প্রয়োজন। শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক সুস্থতাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।’
শোবিজ অঙ্গনের তারকারা ও সাধারণ মানুষ শারমিন আঁখির এই বাস্তব অভিজ্ঞতাপূর্ণ পরামর্শকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নিচ্ছেন। দগ্ধ শিশুদের বাঁচাতে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছেন অনেকে।