জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দ্বীনের পথে লড়াইয়ের অঙ্গীকার জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের

ডা. শফিকুর রহমান : ছবি-সংগৃহীত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত দ্বীনের পথে লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। রক্তের চাদর গায়ে জড়িয়ে আল্লাহর দরবারে যেতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, অতীতে দেশে অনেক শাসন দেখেছেন, কিন্তু সেগুলো ছিল শোষণ, সেবা নয়। তাই সুযোগ পেলে জামায়াত শাসক নয়, জনগণের সেবক হয়ে কাজ করবে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। পথসভায় তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সাঈদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চব্বিশ সালে একজন আবু সাঈদকে হারিয়েছি, এবারও আরেকজন আবু সাঈদকে হারালাম। আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের নিজের কাছে নিয়ে যান।’
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘চব্বিশের গণআন্দোলন, ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ এবং ২১ জুলাই উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহতদের জন্য আল্লাহর কাছে শহীদ মর্যাদার প্রার্থনা করছি।’
এ সময় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও মঞ্চে দু’বার পড়ে গিয়েও মনোবল হারাননি। চিকিৎসকের পরামর্শ উপেক্ষা করে তিনি শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন।’
পথসভা শেষে আমিরে জামায়াত হেলিকপ্টারযোগে নিহত মাওলানা আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আবু সাঈদের অভাব পূরণ করতে পারব না, তবে সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।’
দাকোপের চালনা বিল্লালিয়া আলিম মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা জি এম আখতারুজ্জামান এবং পরিচালনা করেন সেক্রেটারি মাওলানা মো. অহিদুজ্জামান।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
পথসভা শেষে ডা. শফিকুর রহমান পাবনার উদ্দেশ্যে রওনা হন, সেখান থেকে রংপুর ও সুনামগঞ্জ হয়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুলাই ফরিদপুরের ভাঙ্গা চৌরাস্তায় জাতীয় সমাবেশে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবু সাঈদ (৫২) নিহত হন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন জামায়াতের কর্মী মো. আনিসুর রহমান ও মো. ইকবাল হোসেন।